#বর্ধমান: ক্যানালের জলে প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকার ধান জমি। মাঠের মধ্যে কাটা ছিল পাকা ধান, সেসব ধান জলের তলায় ডুবে গিয়েছে। ধান পেকে যাওয়ার পর কাটার আগেই জমি জলে ডুবে গিয়েছে। এখন অনেক জমিতে জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। ফলে সেসব জমির ধানও আদায় করা মুশকিল বলেই মনে করছেন কৃষকরা। পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার ব্লকের এই ঘটনায় মাথায় হাত চাষিদের। ছট পুজোর জন্য দামোদর ও বাঁকা নদীতে জল ছাড়া হয়েছিল। তার জেরেই এই বিপত্তি বলে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে।
এখন জেলা জুড়ে চলছে ধান কাটার মরশুম। পাকা ধান মাটিতে ফেলা রয়েছে। বাকি ধান এখন কাটার অপেক্ষা। তাই এখন শুকনো আবহাওয়াই কাম্য চাষীদের কাছে। ঠিক সেই সময় ডিভিসির ক্যানাল দিয়ে নদীর স্রোতের মতো জল ঢুকেছে জমিতে। তাতেই প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকার ধান জমি। ভাতার ব্লকে পাঁচশো বিঘা ধান জমি এখন জলের তলায়। অসময়ে কীভাবে এই জল এল তা বুঝে উঠতে পারছেন না কৃষকদের অনেকেই। তাঁদের কাছে ক্যানালে জল আসার আগাম কোনও খবরও ছিল না। ফলে তাঁরা কাটা ধান সরিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি। সকালে সেইসব জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে দেখে মাথায় হাত কৃষকদের।
পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছরই ছট পুজোর জন্য দামোদর ও বাঁকা নদীতে ক্যানাল মারফত জল ছাড়া হয়। এবারও তেমনটি হয়েছিল। কিন্তু ত্রুটির কারণে জমির সঙ্গে যুক্ত ক্যানালে জল চলে যায়। তার জেরেই এই বিপত্তি ঘটেছে। ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত ও যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।
অসময়ে ক্যানালের এই জলকে কার্যত পাকা ধানে মই দেওয়ার সামিল বলেই মনে করছেন পূর্ব বর্ধমানের ভাতার ব্লকের কৃষকরা। ভাতার ব্লকের আমারুন, আড়া,সুনুর, বেলেন্ডা, নওদা, বালসিডাঙ্গা মৌজার বিস্তীর্ণ এলাকায় হু হু করে জল জমিতে চলে আসার ফলে চরম ক্ষতির মুখে কৃষকরা। তাঁরা বলছেন, '' এবার ধানের ফলন ভালোই হয়েছিল। দেনা মিটিয়ে লাভের মুখ দেখা যাবে বলে আশা করা গিয়েছিল। কিন্তু ক্যানালে চলে আসা জল সব শেষ করে দিয়ে গেল। এখন দেনা কী করে শোধ করা সম্ভব হবে, বুঝে ওঠতে পারছি না। '' কাটা ধান পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাবে, পাকা ধানও আদায় করা যাবে না বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
SARADINDU GHOSH
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: East Burdwan