হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
রাজমিস্ত্রির কাজে বিদেশে, সৌদি আরবে ভিক্ষে করে দিন গুজরান পরিযায়ী শ্রমিকের

রাজমিস্ত্রির কাজে বিদেশে, সৌদি আরবে ভিক্ষে করে দিন গুজরান পরিযায়ী শ্রমিকের

সব পরিবারেরই সরকারের কাছে একটাই আবেদন। বাড়ির ছেলেকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক।

  • Share this:

#দক্ষিণবঙ্গ: পেট বড় বালাই! পেটের দায়েই ভিটেমাটি পরিবার ছেড়ে রোজগারের আশায় ভিনদেশে পাড়ি দেয় মুর্শিদাবাদের বহু যুবক। এবার দালাল চক্রের ফাঁদে পড়ে সৌদি আরবে আটকে লালগোলার ৪ পরিযায়ী শ্রমিক। আতঙ্কে, হতাশায় দিন কাটছে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের।

লালগোলার বাসিন্দা শামিকুল শেখ, আরিফ শেখ, রুহুল আমিন ও সম্রাট আলি। ৯ মাস আগে রাজমিস্ত্রির কাজের খোঁজে সুদূর সৌদি আরবের রিয়াধে পাড়ি দিয়েছিলেন ওঁরা। তাঁদের পরিবারের অভিযোগ, যে সংস্থার হয়ে ওই যুবকেরা কাজে গিয়েছিল সেই সংস্থা তাঁদের বেতন দিচ্ছে না, তাঁদের পাসপোর্ট, ভিসা আটকে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি ওই যুবকেরা একটি ভিডিও বার্তায় সৌদি আরব থেকে মুর্শিদাবাদে ফেরানোর আবেদন জানিয়েছে প্রশাসনের কাছে। বর্তমানে তাঁরা আরবের জেলে বন্দি।

আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর জন্মদিনে উত্তরীয় পরিয়ে, শুভেচ্ছা বিনিময়ে দিলীপ-শুভেন্দু-সুকান্তকে ঐক্যের বার্তা

সূত্রের খবর, রোজগারের আশায় দালালের হাত ধরে ধারদেনা করে ভিসা পাসপোর্ট তৈরি করে প্রায় ৯মাস আগে সৌদি আরব পাড়ি দিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের এই চার যুবক। কিন্তু অভিযোগ, সেখানে মাস দুয়েক কাজ করার পর থেকেই বেতন দেওয়া বন্ধ করে দেয় ওই সংস্থা। এইভাবে ১ মাস কাজ করার পর অনাহারে অসহায় ভাবে কখনও মসজিদে খেয়ে আবার, কখনও ভিক্ষা করে দিন কাটান ওঁরা। টাকাপয়সা না থাকায় দেশে ফেরাও অসম্ভব হয়ে ওঠে। এমন অবস্থায় প্রশাসনের সাহায্য় ছাড়া তাঁদের দেশে ফেরা সম্ভব নয় বলে প্রশাসনকে পাঠানো ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন ওই পরিযায়ী শ্রমিকেরা।

লালগোলার রুহুল আমিনও আটকে সৌদিতে। বাবার মৃত্যুর পরে পরিবারের বড় ছেলে হওয়ায় একমাত্র রোজগেরে রুহুল। পরিবারের অভিযোগ, দালালের কথায় ধারদেনা করে লক্ষাধিক টাকা জোগাড় করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কাজ শুরুর দুমাস পরেই টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয় মালিকেরা। ওঁদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্যেও এখান থেকে টাকা পাঠানো হয়েছিল। তবুও ওঁরা আসতে পারছেন না। বর্তমানে ওঁরা জেলে রয়েছেন।

একই অভিযোগ আরিফ শেখের বাবা ও সম্রাট আলির স্ত্রীয়ের। সব পরিবারেরই সরকারের কাছে একটাই আবেদন। বাড়ির ছেলেকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক।

বিদেশে আটকে থাকা শ্রমিকদের দেশে ফেরানোর জন্য কাজ করা এক স্বেচ্ছাসেবীর সদস্য মতিউর রহমান বলেন, "লালগোলার ওই চার যুবকে ফিরিয়ে আনার জন্য সমস্ত তথ্য ভারতীয় হাইকমিশনকে জানানো হয়েছে। খুব দ্রুত ওঁদের ফিরিয়ে আনা হবে।"

Published by:Satabdi Adhikary
First published:

Tags: Saudi Arabia