#সুন্দরবন: একে লকডাউন তার উপর আমপানে তছনছ হয়েছে বাড়ির সবকিছু। চোখে জল ফেলতে ফেলতে হাঁটা পথে ঝাড়খন্ড থেকে সুখদেব, বিরেন সহ ১২ জন পরিযায়ী শ্রমিক পৌছানোর ইচ্ছাছিল সুন্দরবন এলাকার নিজেদের বাড়িতে।ঝড়ের পরে যোগা্যোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে তাদের পরিবারের সাথে।
লকডাউন বলেই ঝাড়খন্ডের দেওঘরের একটি রাইস মিলেই গৃহবন্দি ছিল ওরা ১২ জন শ্রমিক, আমফানে নিজের গ্রামের বাড়ি তছনচ ও পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর আর মন মানল না। আমফানের ভয়ঙ্কর গ্রাসে আজ ভিটেমাটি লন্ডভন্ড।
টিভিতে এই চিত্র দেখেই ঝাড়খন্ড থেকে হাঁটাপথে ওরা আজ ঘরমুখী। দেওঘর থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে সুদূর সুন্দরবনের পাথরপ্রতিমার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই এসে পৌচ্ছেছিল বীরভূমে। কিন্তু পুলিশ তাদের নিয়ে গেলো ত্রান শিবিরে সেখানে থেকেই বাসে জরে তাদের পাঠানো হবে নিজেদের গ্রামে সুন্দরবনে।ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে একটি রাইস মিলে কাজ করতো বেশ কয়েকজন শ্রমিক। যাদের বাড়ি সুন্দরবনের পাথরপ্রতিমা গ্রামে। ভয়ঙ্কর ঘুর্ণিঝড়ের কারণে তছনছ হয়ে গেছে তাদের ঘরবাড়ি, এই খবর টিভিতে বা খবরের কাগজে দেখার পর আর সেখানে থাকতে পারেননি তাঁরা।
রাইসমিল এর মালিককে বারবার বলা সত্ত্বেও কোন ব্যবস্থা করে দেয় নি , কিছুট রাস্তা ট্রাক ভাড়া করে এলেও তাদেরকে মাঝপথে নামিয়ে দেয় ট্রাক, তাই বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে রওনা দিয়েছে পাথরপ্রতিমা এর ১২ জন পরিযায়ী শ্রমিক। বীরভূমের সিউড়ির কাছে জাতীয় সড়কের ওপর স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের আটকায় এবং জিজ্ঞাসা করে কোথা থেকে আসছেন। তখনই কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা এবং সমস্ত খুলে বলেন। এরপর খবর দেওয়া হয় সিউড়ি থানায়, সিউড়ি থানার পুলিশ আসে এবং তাদের সেখান থেকে রিলিফ সেন্টারে নিয়ে যায়। লকডাউন এও যারা গৃহবন্দি ছিলেন ভেবেছিলেন লকডাউন উঠলেই বাড়ি ফিরবেন কিন্তু আমফানের তাণ্ডবে বাড়ি তছনচ আর পরিবারের সঙ্গ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারনে তারা বাড়ি ফিরতে বাধ্য হয়েছিল
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Amphan, Amphan Cyclone, Migrant labour