#পটাশপুর: বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর প্রথম সভা। সেখানেই প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন শিশির অধিকারী। সভাস্থল এগরা পটাশপুর। সূত্রের খবর এদিন শিশির অধিকারী সভাস্থলে পৌঁছতেই তৃণমূল সমর্থকরা সেখানে ভি়ড় করে স্লোগান তুলতে থাকে। স্লোগান উঠতে থাকে শিশিরবাবু চিটিংবাজ, মীরজাফর। পরিস্থিতি একটা সময়ের পর কার্যত হাতের বাইরে বেরিয়ে যায়। খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় বিজেপি তৃণমূলের মধ্যে। সূত্রের খবর ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিশির অধিকারী নিজে তৃণমূল কর্মীদের দিকে তেড়ে যান।
ঘটনাস্থলে আসে পটাশপুর থানার পুলিশে। আসে কেন্দ্রীয় বাহিনীও। ধীরে ধীরে পরিস্থিত শান্ত হয়। তবে বেনজির এই পরিস্থিতি অস্বস্তিতে ফেলেছে গেরুয়া শিবিরকেও। সদ্যই দলে এসেছেন শিশির অধিকারী, বর্যীয়াণ এই নেতা আগামী কয়েক দিনে প্রচারেও পা মেলাবেন। সেক্ষেত্রে যদি এই ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয় তবে পালে হাওয়া লাগবে তৃণমূলের, এই সারসত্য বুঝেই স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণ করতে হচ্ছে বিজেপিকে।
প্রসঙ্গত রবিবারই শিশিরহারা হয় তৃণমূল। শাহী মঞ্চে দেখা যায় শিশির অধিকারীকে। তিনি যাওযার আগে বলে যান, 'ধাক্কা মেরে পাঠিয়ে দিল।' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যুত্তরে নাম না করে বলেন, 'না গেলে এমনিতেই দল থেকে বের করে দিতাম।' শিশির অধিকারী নিজে ভোটে লড়ছেন না। প্রচার করছেন ছেলে শুভেন্দুর হয়ে। তিনি আত্মবিশ্বাসী নন্দীগ্রামে শুভেন্দু জিতবে, গোটা পূর্ব মেদিনীপুরে ধুয়েমুছে সাফ হবে তৃণমূল। আর তৃণমূলের অস্ত্র অধিকারী পরিবারের 'বিশ্বাসঘাতকতা'র খতিয়ান জনতার সামনে তুলে ধরা। দলের শীর্ষনেতা থেকে নীচুতলা এই কাজটিই করে চলেছে। সাফল্য কে পায় তা জানতে অপেক্ষা ২ মে পর্যন্ত।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।