#কালনা: চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠলো কালনা মহকুমা হাসপাতালের সুপার স্পেশালিটি উইং। চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে গাফিলতি অভিযোগ তুলে হাসপাতলে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি রোগীর আত্মীয়রা ভাঙচুর চালায় বলেও অভিযোগ। নার্সদেরও হেনস্থা করা হয়। উত্তেজনার খবর পেয়ে কালনা থানার পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ও উপযুক্ত নিরাপত্তার দাবিতে হাসপাতালে সুপারের অফিসের সামনে ধর্নায় বসেন নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।ঘটনার সূত্রপাত এদিন দুপুর একটা নাগাদ। এক আসন্নপ্রসবার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে ওই প্রসবার বাড়ির লোকদের জানানো হয়। এরপরই ওই প্রসবার আত্মীয় পরিজনরা উত্তেজনায় ফেটে পড়ে। তারা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে টেবিল চেয়ার উল্টে দেয়। চিকিৎসক ও নার্সদের হেনস্থা ও তাদের গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে কালনা থেকে পুলিশ বাহিনী গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত আটটা নাগাদ কালনার নন্দাই মির্জাপুরের বিউটি বিবি নামে এক আসন্নপ্রসবাকে কালনা মহকুমা হাসপাতালের সুপার স্পেশালিটি উইংয়ে ভর্তি করা হয়। তিনি প্রসব যন্ত্রণা ছটফট করছিলেন। ওই প্রসবার আত্মীয় পরিজনদের অভিযোগ, সারারাত ওই প্রসবার কোনও চিকিৎসা হয়নি। এ দিন সকালেও তাঁকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া বা কোনওরকম দেখভাল করা হয়নি। তারই জেরে গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়ে উত্তেজিত হয়ে পড়েন ওই মহিলার পরিবার-পরিজনরা। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ কতটা যুক্তিযুক্ত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোন চিকিৎসকের অধীন তিনি ভর্তি হয়েছিলেন, গতকাল রাত থেকে এ দিন দুপুর পর্যন্ত তার কি কি চিকিৎসা হয়েছে তাও দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি হাসপাতালের ভেতরে এরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলো কেন, নার্সদের কারা কেন কিভাবে হেনস্থা করেছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা কিভাবে এড়ানো যায় তাও খতিয়ে দেখা হবে।
হাসপাতালে নার্সদের অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসার পরিষেবা সামাল দেবার সাধ্যমত চেষ্টা করছেন তাঁরা। এরপরেও চিকিৎসার গাফিলতিতে অভিযোগ তুলে তাঁদের হেনস্থা করা হচ্ছে। বারেবারেই রোগীর আত্মীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। তাই হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন। সর্বত্র সিসি টিভি লাগানো থেকে শুরু করে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা বাড়ানোর দাবি তুলেছেন তাঁরা।
Saradindu Ghosh