#কলকাতা: চিকিৎসা করাতে গিয়ে হায়দরাবাদে আটকে পশ্চিমবঙ্গের কয়েকশো বাসিন্দা। কার্যত হোটেল বন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। এদের মধ্যে বেশ কয়েক জন অসুস্থও রয়েছে। তাদের প্রতিদিন মোটা টাকার ওষুধ নিতে হচ্ছে। এদিকে তাঁদের সঙ্গে থাকা টাকা পয়সা প্রায় শেষ। বাইরে খাবার মিলছে না। হোটেল খরচও সামাল দিতে পারছেন না অনেকে। তারা স্হানীয় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তেমন কোনও সুরাহা পাননি। তারা এখন সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ করে রাজ্যে ফেরার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন। রানিগঞ্জেরও এক পরিবারের চারজন হায়দরাবাদে আটকে রয়েছেন। হোটেল ভাড়া খাওয়া দাওয়ার খরচ সামলানো দায় হয়ে উঠেছে। হায়দরাবাদের বানজারা হিলসে চোখের চিকিৎসা করাতে গিয়েও আটকে রয়েছেন বেশ কয়েক জন।
ঝুমা দাস। বর্ধমান বড়নীলপুরে বালিডাঙার বাসিন্দা। পেটের সমস্যার চিকিৎসা করাতে স্বামীর সঙ্গে হায়দরাবাদ গিয়েছিলেন। 23 মার্চ ফেরার টিকিট ছিল। ট্রেন বাতিল হয়ে গিয়েছে। সেদিন থেকেই হায়দরাবাদের কাচ্চিভালিতে হোটেলে আটকে রয়েছেন। বর্ধমানে আত্মীয়দের কাছে রয়েছে ঝুমা দেবীর ন বছরের মেয়ে অঙ্কিতা। সাংবাদিক, পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকদের ফোন নম্বর জোগাড় করে ফোন করে চলেছে ছোট্ট অঙ্কিতা। সে বলছে, বাবা মা অনেকদিন হয়ে গেল হায়দরাবাদ গিয়েছে। ফিরতে পারছে না। আটকে রয়েছে। তোমরা একটু বাবা মাকে আনার ব্যবস্থা করে দাও না। খুব মন খারাপ করছে।
ছোট অঙ্কিতার কথায় উত্তর দিতে পারছেন না অনেকেই। তাঁরা বলছেন, এখন যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ। বাস ট্রেন বিমান কিছুই চলছে না। এই শিশুকে সেকথা বলল কিভাবে। মিথ্যা আশ্বাসও দেওয়া যাচ্ছে না। পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক বিজয় ভারতী বললেন, অনেকেই জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমে ফোন করছি। আমরা তাদের নাম, ফোন নম্বর, এখন কোথায় রয়েছেন সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য নিচ্ছি। সেই এলাকার প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যা মেটানোর ব্যবস্থা করছি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona Virus