#দক্ষিণ ২৪পরগণা: আমফানের ক্ষত এখনও মেটেনি। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ লাগানোর কাজ চলছে। তার মধ্যেই কুলতলিতে একের পর এক নদীর চর থেকে ম্যানগ্রোভ কেটে তৈরি করা হচ্ছে মাছের ভেড়ি। এ বিষয়ে উদাসীন প্রশাসন, অভিযোগ এলাকাবাসীর । কুলতলী থানা থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে গোরানকাটি গ্রামে নদীর চরের প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে ম্যানগ্রোভ কেটে তৈরি হচ্ছে মেছো ভেড়ি।
গত এক বছরে ম্যানগ্রোভ ধ্বংস হয়েছে কুলতলি, জামতলা সংলগ্ন পল্লী, আন্ধারিয়া, সানকি জাহান কলোনি, ৪ নম্বর গড়ান কাঠি কেল্লা ও দেউলবাড়িতে। বিঘার পর বিঘা ম্যানগ্রোভ জমি ধ্বংস হয়েছে। সেখানেও তৈরি হয়েছে মাছের ভেড়ি। এবার নতুন করে গোরান কাটি এলাকায় ১০০ বিঘা জমি ম্যানগ্রোভ কেটে তৈরি হচ্ছে মেছোভেড়ি। অভিযোগ গ্রামবাসীদের ।
কীভাবে এই মেছোভেড়ি তৈরি হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার মানুষজন। অভিযোগ, প্রশাসনের একাংশ এলাকার কিছু অসাধু মানুষের গোপন আঁতাতে ম্যানগ্রোভ ধ্বংসে মেতেছে কুলতলীর ও মৈপিঠ এলাকার মানুষজন। কুলতলী ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গোপাল মাঝি জানিয়েছেন বেশ কয়েকবার বনদফতর এবং প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা কিন্তু কোনও ফল হয়নি।
বনদফতর এবং প্রশাসনের একাংশের এই ম্যানগ্রোভ ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ। তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়। সিপিআইএমের বিরোধী দলনেতা উদয় নস্কর ও বিজেপির তরফ থেকে উত্তম হালদার একযোগে অভিযোগ করেন যে, শাসক দলের একাংশের মদতে এই ম্যানগ্রোভ ধ্বংস করছে কিছু অসাধু মানুষ। একের পর এক নদীর চরের ম্যানগ্রোভ কেটে সেখানে মেছোভেড়ি তৈরি হচ্ছে। প্রশাসন নজর দিচ্ছে না বিষয়টিতে।
ভেড়ি তৈরির পরে অবশ্য বনদফতরের কর্মীরা এলাকায় যান। সেখানে গিয়ে পাড়ের মাটি সরানোর কাজ শুরু করেছে কয়েকজন শ্রমিক। তবে সেগুলি নিছকই লোকদেখানো বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
Arpan Mondal