#কলকাতা: রাজনীতিতে রাগ বা অনুরাগ বলে কিছুই হয় না।আবারও প্রমাণ করলেন বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। বিদ্রোহে ইতি টেনে, শান্তনু ঠাকুর এখন শান্ত। মতুয়াদের তীর্থস্থান ঠাকুর নগরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পর দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আসবেন। এই জানুয়ারি মাসের শেষে তিনি আসবেন ঠাকুর নগরে। তাঁর জন্য ঠাকুর বাড়িতে আসেন বিজেপি নেতৃত্বের একটি দল। সেই দলে ছিলেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায় ও পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোর্তিময় মাহাতো। এদিন দুপুর ১ টা নাগাদ ঠাকুর বাড়িতে এসে প্রথমে ঠাকুর হরিচাঁদ গুরুচাঁদের মন্দিরে যান তাঁরা । এরপর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর এর সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপি নেতৃত্ব । ঠাকুরবাড়ি যে মাঠে নরেন্দ্র মোদি সভা করেছিলেন সেই মাঠই ঘুরে দেখেন তাঁরা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লোকসভা ভোটের আগে এই ঠাকুর বাড়িতে মতুয়াদের ধর্মসভায় যোগ দিয়েছিলেন। সেই সভাতে তাঁর প্রতিশ্রুতি ছিল ক্ষমতায় ফিরলে মতুয়াদের নাগরিকত্বের সমস্যার সমাধান করবেন। সি এ এ সংসদে পাশ হলেও নাগরিকত্ব নিয়ে মতুয়াদের সমস্যার সমাধান হয়নি আজও। আর তা না হওয়ায় বিদ্রোহী হয়ে ছিলেন বিজেপির সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভার প্রস্তুতিতেই সেই বিদ্রোহের রণভঙ্গ হল বলে মত বিজেপির একাংশের।
আর শান্তনু ঠাকুরের ভোল বদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না বনগাঁ লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ মমতা ঠাকুর। তাঁর দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মতুয়া ধর্মের সম্মেলনে কোনও রাজনীতির কথা বলেননি।তিনি শুধু মতুয়াদের উন্নয়নের নানান প্রকল্পের কথা বলে গিয়েছেন। এবার দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রি ঠাকুর নগরে কেন আসছেন সেটা আগে পরিস্কার করুক বিজেপি, বলছেন মমতা ঠাকুর।
এইদিন ঠাকুর নগরে এসে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের আক্রমণের নিশানায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । বিজেপিতে গেলেই সবাই ওয়াশিং মেশিনে ধুয়ে ভাল হয়ে যাচ্ছে বলে ইদানীং কটাক্ষ করছেন তৃণমুল সুপ্রিমো। তার জবাবে সারদা-নারদা অভিযুক্ত বিজেপি নেতা মুকুল রায় এদিন পাল্টা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর দফতরটাই ওয়াশিং মেশিন। উনি স্বাস্থ্য মন্ত্রীও, আর উনি কারও কোন অপরাধ চোখে দেখতে পাচ্ছেন না। পাশাপাশি তিনি বলেন, নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর সব আন্দোলনেই তিনি ছিলেন আর তাঁর সব ডিভিডেন্ড নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ।