#মুর্শিদাবাদ: বিধানসভা নির্বাচনে ফের ক্ষমতায় আসতে হলে এবং জিততে হলে মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে ২২টি আসন তৃণমূল কে দখল করতে হবে। এই জেলায় বাম কংগ্রেসের সাথে মূল লড়াই তৃণমূলের, সেই বার্তা চ্যালেঞ্জ দিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বহরমপুর ষ্টেডিয়ামে জনসভা করা হয়, প্রধান বক্তা ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন অধীর গড়ে দাঁড়িয়ে নাম না করে মির্জাফর ও গদ্দার বলে বিজেপি কে আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও একটি বারের জন্য অধীর গড়ে দাঁড়িয়ে অধীর চৌধুরী কে কোন কটাক্ষ করলেন না তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি যতক্ষন বাঁচব রয়াল বেঙ্গল টাইগার নিয়ে চলব, তৃণমূল কর্মীরা আমার সম্পদ, যারা দলের পতাকা ধরে কাজ করে আমি তাদের সাথে কাজ করি। বিজেপি কে আক্রমণ করে বলেন, দুষ্টু গুরু আছে বিজেপি সাথে ঘর করে তারা অতি শীঘ্রই চলে যাক। আমাকে ভয় পাওয়ার দরকার নেই যারা মনে করবেন বিজেপি করবেন চলে যান আমার দলে তাদের কোন জায়গা নেই। আমি কাওরির কাছে মাথা নত করি না টাকা কাছে দল কে বিক্রি করি না। দুর্নীতি লোকেরা তারা মাথা নত করে দেন। এই জেলা নবাবের জেলা। সিরাজ উদ দৌল্লাকে মির্জাফর বলা হত, এই বাংলায় দুই একজন দুষ্টু গরু হাম্মা হাম্মা করে অনেক দুর্নীতি করেছে তাদের এখন মনে পড়েছে, গরু পাচার থেকে কয়লা পাচার ধরা পড়বে তাই বিজেপি ওয়াশিং মেশিন যাচ্ছি আর সাদা হয়ে আসছে, এগুলো সাদা নয় কালো কাদা হয়ে যাচ্ছে। বিজেপি দল বাংলার দল নয়, গুজরাট উত্তর প্রদেশে দাঙ্গা করার পার্টি । না হিন্দু, না মুসলিম কাওরির দল নয়, মুখে বলে হরি হরি আর সাধারণ মানুষ কে খুন করি আর নোট বন্দি করি। আমরা তা বলি না আমরা বলি হরে কৃষ্ণ হরে হরে শান্তি থাকুক ঘরে ঘরে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এও বলেন, আগে মা কে সম্মান করতে জানতে হবে। মা বোনদের সম্মান করতে হবে,বাংলায় মা বোনদের যে স্বাধীনতা আছে সেটা অন্য কোথাও নেই। বিজেপি রাজ্য উত্তর প্রদেশে সংখ্যালঘু সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে।
বিজেপিকে ভয় দেখাবে কোন ভয় পাবেন না। আমি বন্দুক ও দাঙ্গা বাজদের সঙ্গে লড়াই করতে পারি। আমি চমকাই না, আমাকে চমকালে মানুষ চমকাই না। সকল বাধা ছিন্ন করে পেরিয়ে যায়। বাংলার সরকার গড়তে মুর্শিদাবাদ ও মালদহ জেলাতে প্রত্যক আসন চাই। কিছু মুসলিম সংগঠন কে টাকা দিয়ে পাঠিয়ে দেয় অশান্তি বারিয়েদেয় । আগামী দিনে মুর্শিদাবাদ বিশ্ব বিদ্যালয়ের কাজ খুব শীঘ্রই কাজ শেষ হয়ে যাবে।সিরাজ দৌল্লা কে মির্জাফর বলা হত। তাই তাকে দেশ ক্ষমা করে নি, আর এখন যারা গর্দার গিরি করে বিজেপি করছে তাদের কে ক্ষমা করবে না। আজকে সোনার ভারত বর্ষ কে বিজেপি বিক্রি করে দিয়েছে। আমার বুথ কর্মীরা আমাদের সম্পদ। টাকা দিলে খেয়ে নিন আর ভোটের বাক্সে উল্টে দিন। ভোট আপনার নিজস্ব অধিকার, ভোটের বাক্সে বিজেপি কে পরাস্ত করে দিন। তাই বিজেপি কে হারাতে হবে।
Pranab Kumar Banerjee