কলকাতা: আগেও দ্রুততার সঙ্গে ভাগীরথীর উপর কালনা শান্তিপুর সেতু তৈরির উপর জোর দিয়েছিলেন। এবারও সেই সেতুর কথা উল্লেখ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বর্ধমানে গোদার মাঠে প্রশাসনিক সভা থেকে রাজ্যের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা বলার সময় কালনা শান্তিপুর সেতুর কথা উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার এই সেতু তৈরির কাজ আরও গতি পাবে বলে মনে করছেন এলাকার বাসিন্দারা। সেতু তৈরি হয়ে গেলে বর্ধমান থেকে নদিয়া যাওয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
ভাগীরথীর উপরে কালনা এবং নদিয়ার শান্তিপুরের মধ্যে সেতুর জন্য জমি কেনার কাজ এগিয়েছে অনেকটাই। তবে সেতু তৈরির কাজ এখনও শুরু হয়নি। সেতুটি তৈরি হলে শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে না, বাড়বে পর্যটকদের আনাগোনা। তাই বৃহস্পতিবারের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী এই সেতুর বিষয়ে কী মন্তব্য করেন, তা জানতে উৎসুক ছিলেন কালনার বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: লক্ষ্য মেদিনীপুর ও ঘাটাল লোকসভা, আগামিকাল আনন্দপুরে সভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
মুখ্যমন্ত্রী এই সেতুর গুরুত্ব উল্লেখ করায় এবার এ কাজে প্রশাসনিক তৎপরতা বাড়বে বলে মনে করছেন বাসিন্দারা। ২০১৭ সালে রাজ্য সরকার এই সেতু তৈরির কথা ঘোষণা করেছিল। ২০১৮ সালে কালনায় একটি বৈঠকে এসে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে যান, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২২ সালের মধ্যে সেতু তৈরির কাজ হয়ে যাবে। কালনা ২ ব্লকের সাতগাছিয়া পঞ্চায়েতের বারাসাত মৌজায় ৬.৩৪০৫ একর, হাঁসপুকুর মৌজায় ১৩.৭১৯৭ একর, কুলিয়াদহ মৌজায় ১৫.৯১৫৯ একর এবং পূর্ব সাহাপুর মৌজায় ১২.০৭৩৫ একর জমি কেনার কথা হয়। পূর্ত দফতর কুলিয়াদহ এবং বারাসত মৌজায় আরও ১১.২৪ শতক জমি কেনার পরামর্শ দেয়।
সব মিলিয়ে সেতুর জন্য জমির প্রয়োজন হয় ৪৭.৮৭৩১ একর। সরকারি ভাবে ৪৭.৭৩৯৯ একর জমি কেনার জন্য প্রায় ৮৯ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। শুরুতে জমির দর বাড়ানোর দাবিতে অনিচ্ছা জানালেও পরে সরকারি শিবিরে সেতুর জন্য জমি দিতে চার মৌজার বেশির ভাগ জমি মালিকই সম্মতি দেন।
আরও পড়ুন: আর নির্ভর করতে হবে না কলকাতার উপর! বর্ধমানকে বড় 'উপহার' দিলেন মমতা
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত জমি কেনা হয়েছে ৪৬.৫৪৯৪ একর। যা মোট প্রয়োজনয়ীয় জমির ৯৭.২৪ শতাংশ। জমি কেনার জন্য খরচ হয়েছে ৮২ কোটি টাকারও বেশি। মামলা মোকদ্দমা, জমির মালিকানা-সহ নানা কারনে ১.৩২ একর জমি কেনা বাকি রয়েছে। জেলা জমি ক্রয় কমিটি দু'দফায় পূর্ত দফতরকে ওই জমি হস্তান্তরও করে দিয়েছে।
পূর্ত দফতরের তরফে খুঁটিপুঁতে জমি কেনা এলাকা চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সেতুর জমি কেনা এবং পরবর্তী কাজের বিষয় নিয়ে খোঁজ নিতে পারেন আন্দাজ করে যাবতীয় তথ্য প্রস্তুত করে রেখেছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Burdwan, Mamata Banerjee, Purba bardhaman