#বহরমপুর: সিরাজদৌলা দেশকে ভালোবাসতেন। মীরজাফর কথা শোনেনি। দেশের সাথে গদ্দারি করেছিল। ইতিহাস টেনে সিরাজের জেলায় তথা অধীর চৌধুরীর গড়ে এভাবেই দলত্যাগীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন মমতা। বহরমপুরের জনসভা থেকে যেন বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, ইতিহাসের পুনরাবর্তনে তিনি সেই সিরাজ, যদিও হার নয়, তাঁর জন্য অপেক্ষমান- জয়। নিজেকে বাঘিনীর সঙ্গেও তুলনা করেন মমতা।
এ দিন দলত্যাগী রাজীব শুভেন্দুদের জন্য মমতার গলায় প্রথম থেকেই তীব্র বিদ্রুপ। তিনি বলেন, "দুষ্ট গোরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভালো। যারা যারা বিজেপি করবেন মনে করেন তারা চলে যান। আমার কিছু যায় আসে না। আমি দলকে টাকায় বেচে দিই না। দুর্নীতিপরায়ণ লোকেরাই দুর্নীতির কাছে মাথা বেচে দেয়।" মমতার উবাচ, "দুর্নীতি করে মনে হয়েছে গরু, কয়লা কেসে চুরি করে ধরা পড়ি। তাই কালো হয়ে বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে সাদা হচ্ছে"
শুভেন্দু অধিকারী আজকাল মঞ্চে স্লোগান তোলেন, কৃষ্ণকৃষ্ণ হরে হরে বিজেপি ঘরে ঘরে। নাম না করে তাঁকে কটাক্ষ করেই মমতা বললেন, মুখে বলে হরি হরি, আর সাধারণ মানুষকে খুন করি, পকেট চুরি করি। আমরা বলি হরে কৃষ্ণ হরে হরে। তৃণমূল, শান্তি ঘরে ঘরে।
নিরাপত্তা-সুরক্ষা এই প্রশ্নগুলিতেই এদিন জোর দিচ্ছিলেন মমতা। তাঁর যুক্তি, জেলায় মহিলারা সুরক্ষিত। মা বোনেরা ছাড়া কোনও কাজ হয় না। এই স্বাধীনতা বাংলা ছাড়া অন্য কোথাও নেই। মমতার কথায়, বিজেপির রাজ্য যান, দেখুন কি অবস্থা? বাংলার মতো সম্মান কেউ পায় না।
কথায় কথায় ভোট পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন মমতা। বললেন, মুর্শিদাবাদে একজন টি এম সি এম এল এ প্রথমে পাইনি। গত ভোটে আমায় দুটো লোকসভা দিয়েছেন। আগামী দিনে আপনাদের ভোটে আমাদের সরকার হবে কোনও ভয় না পেয়ে, সব ভোট টি এম সি কে দিন। কোনও ভোট দেবেন না। মমতার যুক্তি-সিপিএম বিজেপির বড় বন্ধু। সিপিএম কংগ্রেস বিজেপির সাথে লড়তে পারবে না।
আত্মশক্তির কথা বলতে গিয়ে মমতা বলেন, আমি মার খেতে খেতে এই জায়গায় এসেছি। আমি গুন্ডা, দাঙ্গাবাজদের সাথে লড়াই করতে পারি। আমাকে চমকালে, মানুষ তাদের ধমকায় । মমতার স্পষ্ট কথা,আগামী দিনে বাংলার সরকার গড়তে এই জেলার ভোট চাই।
তাঁকেই নিশানা করেছে কেন্দ্র। অকুতোভয় মমতা সভামধ্যেই বলে ওঠেন, "আমি যতদিন বাঁচব রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার হয়ে বাঁচব।আমি এন পি আর করতে দেব না। আমায় টাকা দেয় না। সারাক্ষণ আমার পেছনে লেগে আছে। আমিও শক্তিশালী। প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছেন। দেখান আপনি কোন সরকারি কর্মী মাইনে পায়নি৷ আপনি বেচে দিচ্ছেন সব। দলবদল করলে চোরেদের, ডাকাতদের জেটে নিয়ে যাচ্ছে। আর পরিযায়ী শ্রমিকদের না আছে বাস না আছে ট্রেন।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।