#বাঁকুড়া: বাঁকুড়ায় লোকসভার দুটি আসনেই পরাস্ত হতে হয় বিজেপিকে। বিধানসভা ভোটে অবশ্য ভোটের ফল কিছুটা ভালো হলেও এই জেলায় এগিয়ে সেই বিজেপিই৷ গত কয়েকবছরে কাজ করা বা পরিষেবা দেওয়ার পরেও কেন এই হাল তা অন্তঃতদন্ত শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দোপাধ্যায় এদিন জানিয়েছেন, ''বাঁকুড়ায় যখন জিতিনি তখন মন খারাপ হয়েছিল। দুই লোকসভা জিতিনি৷ হয়ত আমাদের ভুল ছিল। আর এর পরেই দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বার্তা, "হেরে গিয়ে যদি দিদি আসতে পারে৷ তাহলে আপনারা কেন বেরোতে পারবেন না।গরীব মানুষের পাশে থাকুন। আদিবাসীদের জমি কাউকে বিক্রি করা যাবে না। সায়ন্তিকা হেরে গিয়েও রোজ আসে। আমরা ছিলাম,আছি, থাকব। আমরা মাথা নীচু করিনা। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মতো।"
এদিন সকাল থেকেই মিটিংয়ে লোক আসা সবে শুরু হয়েছিল। বেলা বারোটায় বৈঠকের কথা ছিল। যদিও মমতা বন্দোপাধ্যায় এসে উপস্থিত হন সাড়ে দশটা নাগাদ। তিনি নিজেই জানান, কখনও কখনও জরুরি প্রয়োজনে মিটিং ছোট করতে হয়। এদিন সঙ্গীতশিল্পী কেকে'কে শ্রদ্ধা জানাতেই তড়িঘড়ি কলকাতা ফিরতে হয় তাকে। তার আগে অবশ্য বাঁকুড়ার ছাত্র-ছাত্রীদের মনে করিয়ে দেন, রেজাল্ট খারাপ হলে মন খারাপ করবেন না। মনের ওপর জোর করবেন। বাঁকুড়ার ছেলে মেয়েরা পড়াশোনায় পথ দেখায়। এখানে ভালো রেজাল্ট করে৷ তাই বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। ইংরেজি শেখানোর ও বলার ভাষা রপ্ত করতে বলেছি। এই রাজ্যের ৫০% ডাক্তার বাঁকুড়া দিয়েছে। সুন্দরবন ও পূর্ব মেদিনীপুর সেখানের ছেলে মেয়েরাও ভালো রেজাল্ট করে। একই সাথে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, আগে মানুষ রাস্তায় বেরোতে ভয় পেত। সেই জঙ্গলমহলে শান্তি ফেরত এসেছে। এতে প্রশাসন ও আমাদের দলের কর্মীদের ভূমিকা আছে।এদিন সভা থেকে তিনি আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে, তিনি বলেছেন, বিজেপি জেতার পর তাদের এলাকায় দেখেছেন? একটা দল জুটেছে বিজেপি। অপদার্থ দল একটা। মনে হয় কবে দেশ থেকে বিদায় নেবে। কখন কে মারা যাবে আর তার জন্য বসে আছে শকুনের মতো।এরপরেই হোম টাস্ক দেন কর্মীদের মমতা বন্দোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: নেশা করে গাড়ি চালাবে না, চালককে নিষেধ করেছিলেন মালকিন, তার জেরেই ঘটল তাজ্জব ঘটনা!
তিনি বলেন, "দুয়ারে সরকার হলে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে যাবেন। কোনও আধিকারিককে বিরক্ত করবেন না। আপনি ফর্ম ফিলাপ করে দিলে মানুষটা আপনাকে অভিনন্দন জানাবে।" প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, কেন্দু পাতার দাম বাড়ানো হয়েছে। লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে শুরু করে বাকি পরিষেবা তৃণমূল কংগ্রেস সরকার দিচ্ছে।কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, আমাদের ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না। আমাদের সব সংগঠন ৫-৬ জুন মিছিল করবেন।গতকাল রেলের ৯০ লাখ শূন্য পদ বিলোপ করেছে। মানে আস্তে আস্তে দোকান গুটিয়ে ফেলো। সব বন্ধ করছে। বেচে দিচ্ছে। কোথায় উজালা। ওটা হাওয়ালা। একটা গরীব মানুষ ৮০০ টাকা কোথা থেকে পাবেন? এবার তো মনে হয় কাঠে রান্না করতে হবে।এই বিজেপি সরকারের জন্য ৪০% বেকারি বেড়েছে। আজ প্রমাণ হয়ে গেল। এদিন মমতা বন্দোপাধ্যায় মনে করিয়ে দিয়েছেন, নেতা থেকে কয়েকজন৷ কর্মী থাকে অনেকজন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bankura news, Mamata Banerjee