#বীরভূম: করোনা আবহে মকর সংক্রান্তিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পূর্নার্থীরা স্নান করতে পারবে জয়দেবে অজয়ের ঘাটে৷ তবে বসবে না কোনও বাউলদের আখরা ও মেলা। বীরভূম জেলা প্রশাসনের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত। সরকারি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে কী কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে পরে। করোনা পরিস্থিতিতে এবার মকর সংক্রান্তিতে পূর্নার্থীরা জয়দেবে অজয় নদীতে স্নান করতে পারবেন। ধর্মীয় এই ব্যাপারে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না বীরভূম জেলা প্রশাসন তবে জয়দেবে কোনও বাউলদের আখরা বসবে না, বসবে না কোনও মেলা৷ তা সাফ জানিয়ে দিল বীরভূম জেলা প্রশাসন।
বীরভূমের সিউড়িতে জেলা পরিষদ কক্ষে জেলা প্রশাসনের একটি বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করল বীরভূম জেলা পরিষদের অভিজিত সিংহ। বীরভূম জেলা পরিষদের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা পরিষদের মেন্টর অভিজিৎ সিংহ, বীরভূমের জেলা শাসক বিজয় ভারতী, বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিং সহ বোলপুরের এস ডি পি ও। করোনা পরিস্থিতিতে জয়দেবে অজয় নদীতে স্নানের অনুমতি বীরভূম জেলা প্রশাসন দিলেও থাকবে বেশ কিছু বিধিনিষেধ যাতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যায়৷ কারণ শারীরিক দূরত্ব ব্যাপারটাকে মান্যতা দিচ্ছে বীরভূম জেলা প্রশাসন। মকর সংক্রান্তিতে এই বছর জয়দেব পুলিশের ওয়াচ টাওয়ারের সংখ্যাও বাড়ানো হবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি সরকারিভাবে মাস্ক বিতরণ ও স্যানিটাইজার এর ব্যবস্থা রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে।
তবে সরকারি যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলি হয় মকর সংক্রান্তি সময় জয়দেবে তা আদৌ হবে কী না তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বীরভূম জেলা প্রশাসন৷ বীরভূম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে আগামী দিনে এই জায়গা পরিদর্শন করে সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কারণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে হলে আগত পুণ্যার্থীদের এমন ভাবে রাখতে হবে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে। অন্যদিকে জয়দেব মন্দিরে পুজো দেওয়ার ব্যাপারেও কোন বিধি-নিষেধ রাখছে না বীরভূম জেলা প্রশাসন৷ কারণ কোনরকম ধর্মীয় ব্যাপারে তারা হস্তক্ষেপ করতে চাইছে না। তবে বীরভূম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা সবই প্রাথমিক পর্যায়ের৷ পরবর্তীকালে বীরভূম জেলা প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হবে৷ সেই বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্তের অদল বদল হতে পারে।