#বর্ধমান: সারা বছরের মঙ্গল কামনায় ইংরেজি বছরের প্রথম দিনে বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মন্দিরে পুজো দিলেন বাসিন্দারা।এদিন অগণিত ভক্ত সকাল থেকেই মন্দিরে পুজোর ডালি নিয়ে ভিড় করেন।পরিবার পরিজনরা যাতে বছরভর সুস্থ থাকেন মায়ের কাছে সেই মনস্কামনা জানালেন অনেকেই। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসিন্দারা যাতে পুজো দিতে পারেন তা নিশ্চিত করতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সর্বমঙ্গলা মন্দির কর্তৃপক্ষ।
রাজ আমলে প্রতিষ্ঠিত বর্ধমানের দেবী সর্বমঙ্গলা মন্দির। মা সর্বমঙ্গলাকে রাঢ়বঙ্গের দেবী বলা হয়। তাই তাঁর আর এক নাম রাঢ়েশ্বরী। বর্ধমানে তিনি অধিষ্ঠাত্রী। যে কোনও শুভ কাজে বর্ধমানের বাসিন্দারা মা সর্বমঙ্গলা মন্দির এসে পুজো দেন। মায়ের আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন। প্রতি বছর ইংরেজি বছরের প্রথম দিনটিতে অগণিত ভক্ত এই মন্দিরে পুজোর ডালি নিয়ে ভিড় করেন। ভিড় সামলাতে অন্যান্যবার প্রচুর সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়।উপস্থিত থাকে পুলিশও। এবার সেই ভিড় তুলনামূলক কম হলেও
এদিন বাসিন্দাদের মূলত মহিলাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্য করার মতো।
করোনা সংক্রমনের কারণে গত বছর লকডাউনের সময় একটানা বেশ কিছুদিন ভক্তদের জন্য বন্ধ ছিল সর্বমঙ্গলা মন্দিরও। বছরের বিভিন্ন সময়ের নানান পার্বণে ভক্ত সমাগমে রাশ টানতে হয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষকে। এখনও সংক্রমণ ঠেকাতে যথেষ্টই সাবধানতা অবলম্বন করতে হচ্ছে। মন্দিরে ঢোকার ক্ষেত্রে এদিনও মাস্কে মুখ ঢাকা বাধ্যতামূলক ছিল। দর্শনার্থীরা যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পুজো দিতে পারেন, দূরত্ব বজায় রেখে মায়ের কাছে পরিবার-পরিজনদের মঙ্গলের মনস্কামনা জানাতে পারেন তা নিশ্চিত করতে তৎপর ছিল স্বেচ্ছাসেবকরা।
মন্দিরের পুরোহিতরা জানালেন, করোনা সংক্রমণ রুখতে দীর্ঘদিন মন্দির চত্বরে মায়ের ভোগ পরিবেশন পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হয়েছিল। করোনা মহামারির কারণে বহু পরিবারকে নানান দুর্দশার মধ্যে কাটাতে হয়েছে। তাই এই মহামারি যাতে অবিলম্বে দূর হয় বর্ধমানের বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে দুর্গতিনাশিনী মা সর্বমঙ্গলার কাছে সেই প্রার্থনা জানিয়েছি আমরা।