#বহরমপুর: মুর্শিদাবাদের লালবাগে নবাবদের ইমামবাড়া আজও কালের সাক্ষী হয়ে রয়েছে। তবুও ঐতিহ্যে ভাটা পড়েনি একটুও৷ রমজান মাসে নবাবদের পরম্পরা অনুযায়ী চলে আসা ইফতারের জন্য সরকারি রাজ্য থেকে প্রায় ২০০ জন মানুষকে খাবার দেওয়া হয় প্রতিবছর৷ নবাবদের ঐতিহ্যকে সামনে রেখে তন্দুরি রুটি, ছোলার ডাল, ঘুগনি, ফল সবই থাকে অন্নের ডালায়।
নবাব নেই। কিন্তু নবাবি প্রথা রয়ে গেছে। ১৮৪৭-এ নবাব নাজিম দেরাদুন খাঁয়ের আমলে তৈরি হয় এই ইমামবাড়া৷ ওয়াসিফ আলি মির্জা প্রায় ১০৯ বছর আগে রমজান মাসে চালু করেন খাবার দেওয়া। লন্ডনে পড়াশোনা করা নবাবের পক্ষে রোজা করা সম্ভব ছিল না তাই হাদিসের নিয়ম অনুযায়ী একজন রোজা না করতে পারলে ষাট জনকে খাওয়াতে হয়৷ সেই ধারা আজও বহন করে চলেছে সরকার।
আরও পড়ুন - সাপের কামড়েও দমলেন না, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বসেই পরীক্ষা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর
১৯৮৫ সালে রাজ্য সরকারের আইন বিভাগ এটি অধিগ্রহণ করে। রমজান মাসে রোজা রাখা ধর্মপ্রাণ মানুষেরা রোজ একমাস ধরে খাওয়ার পেয়ে থাকেন। সারাদিন উপোস করে সন্ধ্যায় ইফতার সারেন তাঁরা৷ পুরো খরচটাই রাজ্য সরকার বহন করে।
আরও পড়ুন- ভরসন্ধ্যে, লোকজনের ভিড় রাস্তায়, ছাত্রীকে বাইকে তুলে নিল দুষ্কৃতিরা!
পাচক জানান, নবাবি আমলের সেই জাঁকজমক আর না থাকলেও এখনও তন্দুরি রুটি, ছোলার ডাল, ঘুগনি, কচুরি, ফল- সবই দেওয়া হয়। নবাবের বংশধর সৈয়দ আলি মির্জা বলেন, "ঐতিহ্য মেনে আজও রমজান মাসে ইফতার উপলক্ষ্যে খাবার দেওয়া হয়। তবে আগে আরও জাঁকজমকভাবে ইফতারের আয়োজন করা হত।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Murshidabad, Murshidabad news