#বর্ধমান: জমি জটে আটকে গেল বলগনা-কাটোয়া রুটে রেললাইনে বৈদ্যুতিকরণের কাজ। প্রায় ২ মাস সময় ধরে বন্ধ এই প্রকল্পের কাজ। কাজ চালু করা নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠকে বসেন রেল ও বিদ্যুত দফতরের কর্তারা।
জমি জট না কাটলে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাবে প্রকল্পের খরচ। দ্রুত প্রকল্পের কাজ শেষ করলে এই লাইন ধরে দুরপাল্লার ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে কমবে দুরত্ব।
বর্ধমান-কাটোয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ন্যারোগেজ লাইন ধরে ছুটত ট্রেন। ২০১২ সাল থেকে বর্ধমান-কাটোয়া রেলপথের বর্ধমান থেকে বলগোনা পর্যন্ত ব্রডগেজ রেল যোগাযোগ চালু হয়। ২০১৫ সালে বলগোনা
সমস্যা কোথায়?কাটোয়া থেকে যাজিগ্রামের মধ্যে রাজ্য বিদ্যুত বন্টন দফতরের ১৩২ কেভি লাইনের একটি বিদ্যুত টাওয়ার আছেযার দুরত্ব রেললাইন থেকে মাত্র ৪ ফুটন্যারোগেজ লাইন, ব্রডগেজে রূপান্তর হওয়ায় রেল চলাচলে বাধালাইন উচুঁ হয়ে যাওয়ায় ট্রেনের ধাক্কা লাগার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বিদ্যুতের লাইনের সঙ্গেরেল চিঠি দিয়েছে রাজ্য বিদ্যুত বন্টন দফতরেসেই চিঠি পৌছয় বর্ধমানের জেলাশাসকের দফতরেবর্ধমানের জেলাশাসক তা পাঠিয়ে দেন বিদ্যুত দফতরের কাছেবিদ্যুত দফতর এলাকা পরিদর্শন করে, খোঁজ মেলে জমিরযদিও জমি দিতে অস্বীকার করছে জমির মালিক
মঙ্গলবার জমি সমস্যা নিয়েই বৈঠকে বসেন রেল ও বিদ্যুত দফতরের প্রতিনিধিরা। বিদ্যুত দফতর জানায়, ফারাক্কা থেক কাটোয়া পর্যন্ত এই পথ ধরেই এসেছে বিদ্যুতের লাইন। এই লাইন সরানো সম্ভব নয়।রেলের দাবি, বিদ্যুত খুঁটি না সরলে রেলের কাজ এগোবে না। ফলে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার জন্য ট্রেনের বিকল্প লাইন তৈরি হলেও তা আটকে যাবে।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিদ্যুত দফতর বিকল্প জমি খোঁজার কাজ চালাবে। আগামী এক মাসের মধ্যে কাজ শুরু করতে আগ্রহী রেল।