হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
ভোলা ঘুমোল-পাড়া জুড়োল, ইনজেকশনে কাবু 'গুন্ডা'! অবশেষে স্বস্তির শ্বাস কাটোয়ায়

Katwa News: ভোলা ঘুমোল-পাড়া জুড়োল, ইনজেকশনে কাবু 'গুন্ডা'! অবশেষে স্বস্তির শ্বাস কাটোয়ায়

কাটোয়ায় শান্তি...

কাটোয়ায় শান্তি...

Katwa News: গত দুবছর কাটোয়ার নানা এলাকায় এক রকম তাণ্ডব চালিয়েছে ভোলা। অবশেষে সে বাগে আসায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন এলাকার বাসিন্দারা।

  • Share this:

#কাটোয়া: অবশেষে ঘুম পাড়ানি  ইঞ্জেকশনে কাবু হল ভোলা। কাটোয়ার (Katwa) ত্রাস ভোলা গুন্ডা এখন গৃহবন্দি। বুধবার বিকালে  মিনিট চল্লিশের চেষ্টায় কাটোয়া খ্যাপা ষাঁড় (Ox) ভোলা কব্জায় চলে আসে প্রশাসনের। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। প্রথম প্রথম শান্ত ব্যবহারই ছিল ভোলার। কিন্তু দিন যত এগিয়েছে ততই বেয়াদব হয়ে উঠেছিল সে। গত দুবছর এলাকায় এক রকম তাণ্ডব চালিয়েছে ভোলা। অবশেষে সে বাগে আসায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন এলাকার বাসিন্দারা।

পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার মোস্তাফাপুর গ্রামে গত দুবছরে  ভোলার গুন্ডামিতে দুজনের প্রাণ গিয়েছে। এ ছাড়াও পঞ্চাশ জন কম বেশি জখম হয়েছেন। ভোলার অত্যাচারে গ্রামবাসীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। ঘরের বাইরে পা রাখা দায় হয়ে উঠেছিল। প্রয়োজনে বাইরে গেলে উদ্বেগে সময় কাটাচ্ছিলেন পরিবারের অন্যান্যরা। প্রশাসনকে বার বার বলে কোন লাভ হয়নি।

ভোলার গুঁতোয়  সোমবার এক গ্রামবাসীর মৃত্যুর পর  কাটোয়ার বিধায়কের উদ্যোগে কাটোয়া এক ব্লকের বিডিও আসিফ ইকবালের নেতৃত্বে ব্লক প্রাণী সম্পদ দপ্তরের প্রাণী বিশেষজ্ঞ মনসুর আলি খানের চেষ্টায় খুব সহজেই ভোলাকে নাগালের মধ্যে পেয়ে যায় প্রশাসন। ভোলাকে পেছন থেকে দুটি ঘুমপাড়ানি ইঞ্জেকশন ফোড়া হয়েছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই ষাঁড়টি নিস্তেজ হয়ে পড়লে  তাকে স্থানীয় মোস্তাফাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিতরে রাখা হয়।

আরও পড়ুন: বীরভূমের জন্য বিরাট খবর, গোটা বাংলার কাছে যা গর্বের...

ভাদ্রমাস হল লক্ষী মাস। এমাসে কাউকেই বাড়ি ছাড়া করতে নেই। গ্রামীণ এই সংস্কারের জন্য দুদিন ভোলা এখন স্কুলে তালাবন্দি থাকবে।গ্রামবাসীরা ভোলার খাওয়ার ব্যবস্থা করবে। কাটোয়া ১ নম্বর বিডিও আসিফ ইকবাল জানান, মারমুখী ষাঁড় ধরার কোনও  পরিকাঠামো আমাদের কাছে নেই।  শুধু মনের জোর আর গ্রামবাসীদের সাহায্যে এটা সম্ভব হয়েছে। ভোলা ধরা পড়ায় গ্রামবাসীরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে।

এই সেই ভোলা... এই সেই ভোলা...

এদিন এক রকম প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। গ্রামবাসীদের সাহায্য নিয়ে ভোলাকে বাগে আনতে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি। ভোলা নাগালের মধ্যে আসতেই তার পেছনে দুটি ঘুমপাড়ানি ইনজেকশন   দেওয়া হয়। তাতেই কাবু হয় এলাকার ত্রাস।

Published by:Suman Biswas
First published: