#মুর্শিদাবাদ: ৬৩টি দেশের ১৬৭টি প্রকল্পের মধ্যে সেরা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কন্যাশ্রী। রাষ্ট্রসংঘের তরফে পুরস্কার পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই স্বীকৃতির পরে উচ্ছ্বাস মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া ব্লকের কন্যাশ্রী যোদ্ধারা। নাবালিকাদের বিয়ে বন্ধ করাই এদের লক্ষ্য। কন্যাশ্রীর বিশ্বজয়ে বাড়বে সামাজিক সচেতনতা। আশা কন্যাশ্রীর যোদ্ধাদের। পাঁচ মাসে অন্তত ২৪টা বিয়ে বন্ধ করেছে এরা।
ওরা দলে ৩২। নীল-সাদা সালোয়ার কামিজ আর সাদা ওড়না পরে বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে বেড়ানো। উদ্দেশ্য একটাই , নাবালিকাদের বিয়ে বন্ধ করা। তাদের আরও শিক্ষামুখী করে তোলা । ওরা কন্যাশ্রী যোদ্ধা। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে সচেতনতা প্রচার চালায় যোদ্ধারা। শুক্রবার নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে কন্যাশ্রীর স্বীকৃতির পর খুশি বাঁধ মানেনি। কন্যাশ্রীর জয় তো তাঁদেরই জয়।
একসময় নিজেদের বিয়ে রুখে পরিবারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল কন্যাশ্রী যোদ্ধারা। এখন নাবালিকার বিয়ের খবর শুনলেই প্রথমে পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনকে জানানো, এরপর পাত্র ও পাত্রীদের পরিবারকে বোঝায় যোদ্ধারা। ১৮ বছরের আগে বিয়ে না দেওয়ার মুচলেকাও লিখিয়ে নেওয়া হয়। সম্প্রতি নবম শ্রেণির ছাত্রী মমতা দাস, অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সাবানা খাতুনের বিয়ে বন্ধ করে পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে যোদ্ধারা।
ইউনাইটেড নেশনসের অন্যতম শাখা, ডিপার্টমেন্ট ফর পাবলিক সার্ভিসের কাছে পুরস্কার পেয়ছে কন্যাশ্রী। সামাজিক প্রকল্পের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব প্রমাণিত। আর এই প্রকল্পের হাত ধরেই একজোট কন্যাশ্রী যোদ্ধারা। অন্ধকার ঘুচিয়ে সামাজিক ব্যাধি দূর করে আরও উন্নয়ন। এগিয়ে চলুক কন্যারা। কন্যাশ্রীরা।