#কালনা: কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর ক্ষোভ মেটাতে উদ্যোগী তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব। এ ব্যাপারে প্রবীণ নেতা তথা মন্ত্রী মলয় ঘটককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারই কলকাতায় বিশ্বজিৎ কুন্ডুকে আলোচনার জন্য ডেকেছেন মলয় ঘটক। সন্ধ্যায় দু'জনের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেই বৈঠকে যোগ দিতে কালনা থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বিশ্বজিৎ কুণ্ডু।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় কাঁকসায় সাংসদ সুনীল মন্ডলের বাড়িতে শুভেন্দু অধিকারী কয়েকজন তৃণমূল নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। জিতেন্দ্র তিওয়ারি, সাংসদ সুনীল মন্ডলের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডুও। সেই বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার পথে বিশ্বজিৎ কুণ্ডুজানিয়েছিলেন, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আগেও কয়েক প্রস্থ কথাবার্তা হয়েছে। তিনি আলোচনার জন্য ডেকেছেন। সেই জন্যই সাংসদ সুনীল মন্ডলের বাড়িতে যাচ্ছি।
সূত্রের খবর,এই বৈঠকের পরই দলের ভাঙ্গন রুখতে উদ্যোগী হয় তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। ক্ষোভ অভিমান দূর করে বিশ্বজিৎ কুণ্ডুকে ধরে রাখতে মন্ত্রী মলয় ঘটককে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপরই বিশ্বজিৎ কুণ্ডুকে ফোন করেন প্রবীণ মন্ত্রী মলয় ঘটক।
দলীয় কোনও কর্মসূচিতে যোগ না দেওয়ায় গত কয়েকদিন ধরেই বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডুকে নিয়ে দলের কর্মী মহলে জল্পনা চলছিল। যদিও এতদিন সে ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেননি বিশ্বজিৎ কুন্ডু তবে আজ কলকাতা যাবার আগে নিজের বাড়িতে বসে খোলামেলা অনেক খোলামেলা কথাবার্তা বলেন তিনি। বিশ্বজিৎ বলেন, মলয়দাকে ভালোবাসি। উনি আলোচনার জন্য ডেকেছেন। আমি যাব। উনি আজ সকালেই দেখা করতে বলেছিলেন কিন্তু সকালে বিশেষ কাজ থাকায় রাতে আলোচনা হবে বলে তাঁকে জানিয়েছি।
দুপুরের পরে সেই বৈঠকের জন্য কালনা থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন কালনার বিধায়ক। সেই বৈঠকে কি আলোচনা হয় এবং বৈঠকের পর কী সিদ্ধান্ত নেবেন এই বিধায়ক তা জানতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তাঁর অনুগামীরা। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য তথা জেলার রাজনৈতিক মহলের এখন বিধায়কের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে নজর থাকছে।
Saradindu Ghosh