#বর্ধমান: করোনা সংক্রমনের জেরে লকডাউনের চেহারা নিল কালনা শহরের একটা বড় অংশ। করোনার সংক্রমনের জেরে বন্ধ হয়ে গেল কালনা মহকুমা আদালত ও কালনা মহকুমা শাসকের অফিস। এর ফলে আদালত ও প্রশাসনিক দপ্তর এলাকার দোকানপাটও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শহরের মূল এলাকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তার প্রভাব পড়েছে বাকি অংশে। শহরের রাস্তাঘাটে লোক চলাচল কম হচ্ছে। কমেছে যানবাহনের সংখ্যাও।
কালনা শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামগঞ্জ পাড়ায় এক করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। আক্রান্তকে করোনা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর পাশাপাশি ওই এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। তার আশপাশের এলাকাকে বাফার জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ওই কন্টেইনমেন্ট জোন ও বাফার জোনকে এক করে এলাকায় লকডাউন পালন করা হচ্ছে। পুরোপুরি লকডাউন নিশ্চিত করতে এলাকায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এই কন্টেইনমেন্ট জোনের মধ্যেই রয়েছে কালনা মহকুমা আদালত ও মহকুমা শাসকের দপ্তর। ফলে আদালত ও সরকারি অফিসের যাবতীয় কাজকর্ম এখন বন্ধ থাকবে বলে নোটিশ জারি করে দেওয়া হয়েছে। ২২ জুলাই পর্যন্ত আদালত, মহকুমা শাসকের অফিস বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করেছে প্রশাসন। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর ও ত্রাণ দপ্তর ছাড়া ওই চত্বরের সব অফিস দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে লকডাউনের চেহারা নিয়েছে কালনা শহরের প্রশাসনিক এলাকা।
তার প্রভাব পড়েছে শহরের বাকি অংশেও। করোনার উদ্বেগ ফিরে আসায় রাস্তায় লোক চলাচল কমেছে। বয়স্ক ও শিশুদের তেমন বাইরে বের হতে দেখা যাচ্ছে না। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাসিন্দাদের বাইরে বের হতে নিষেধ করছে মহকুমা প্রশাসন। খুব প্রয়োজনে রাস্তায় বের হলে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র কালনা শহরেই নয়, কালনা পুরসভার আশপাশের কালনা এক ও দুই নম্বর ব্লক, পূর্বস্থলী এক ও দুই নম্বর ব্লক, মন্তেশ্বর, মেমারি এক ও দুই নম্বর ব্লকে প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দারা নানান প্রয়োজনে শহরে যাচ্ছেন। ফলে বাইরে বের হলেই করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। তাই বাসিন্দাদের সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করতে বলা হচ্ছে। নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bardhaman, Coronavirus, COVID-19