#বর্ধমান : পসার সাজিয়ে তৈরি বিক্রেতারা। কিন্তু যাদের জন্য রকমারি রঙের পসরা সেই ক্রেতাদেরই দেখা নেই বর্ধমানে। লাখ লাখ টাকা খরচ করে দোকান দিয়ে এখন বিক্রিবাটা না হওয়ায় চিন্তায় ব্যবসায়ীরা। কারণ, করোনা আতংক। অনেকেরই ধারনা এই রঙ আসছে চিন থেকে। তাই গুজব রটেছে, চিনের আবির,রঙ থেকে ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস। তাতেই আতংকিত অনেকেই। ছেলে মেয়েদের হাতে রঙ পিচকারি তুলে দেওয়া দূরে থাক,রঙের দোকান মুখো হচ্ছেন না অনেকেই। তাতেই চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে আবির বিক্রেতাদের।
বর্ধমান শহরের প্রাণ কেন্দ্র কার্জন গেট, বি সি রোড, তেঁতুল তলা বাজার, রানিগঞ্জ বাজার, বড় বাজার ও জি টি রোড বরাবর প্রচুর রঙের পসরা বসেছে। নানান রঙের আবির, জলে গোলা রঙ, মুখোশ, পিচকারিতে সেজে উঠেছে দোকানগুলি। কিন্তু সময় যত যাচ্ছে ক্রেতার দেখা না পেয়ে ততই হতাশ হচ্ছেন বিক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, এমনিতেই করোনা আতংকে বাসিন্দারা ভীত হয়ে রয়েছেন। তার ওপর চায়না রঙ কিনতে ভয় পাচ্ছেন অনেকেই। এই সব আবির চিন থেকে এসেছে কিনা আমাদের জানা নেই। আমরা কলকাতার পাইকারি বাজার থেকে নিয়ে এসেছি। এখন বাসিন্দারা বলছেন এসব চায়না মেড। করোনার ভাইরাস থাকতে পারে এই আশঙ্কায় কিনতে চাইছেন না অনেকেই। লক্ষ লক্ষ টাকার আবির, রঙ, পিচকারি, মুখোশ রয়েছে। বিক্রি না হলে কি হবে ভেবে উঠতে পারছেন না বিক্রেতারা। লাভের আশায় পসরা সাজিয়ে এখন চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন - #Coronavirus: এবার কি বন্ধ হবে তাজমহল! করোনা থেকে বাঁচতে নয়া ভাবনা
বাসিন্দারা অনেকেই এখন করোনা আতংকে দেশীয় সংস্হার আবির খুঁজছেন। কিছু কিছু ব্যবসায়ী ভেসজ আবির এনেছেন। সেসব কোথায় পাওয়া যাচ্ছে তার খোঁজ চালাচ্ছেন অনেকেই। অনেকের আবার জ্বর সর্দি ঠান্ডা লাগার ভয়ে এবার রঙ খেলায় অনীহা। তাঁরা বলছেন, বড় বড় রাজনৈতিক নেতা থেকে সেলিব্রিটিটা অনেকেই রঙ খেলবেন না বলছেন। শান্তিনিকেতনেও এবার রঙ খেলা হবে না। তার ওপর রোজ বৃষ্টি। বেশ শীত শীত ভাব। সিজন চেঞ্জের সময় রঙ খেললে আবার হিতে বিপরীত হতে পারে। সেসবের কারনে রঙ খেলা বা না খেলা নিয়ে দোটানায় রয়েছেন অনেকেই।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Abir, China, Coronavirus, Holi