#মালদহ : মালদহে তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান থেকে সরানো হল মোয়াজ্জেম হোসেনকে। নতুন জেলা চেয়ারম্যান পদে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। মোয়াজ্জেম হোসেনকে করা হলো রাজ্য সহ-সভাপতি। নতুন আরও দুই জেলা কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ। নতুন দুই কো-অর্ডিনেটর বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন ও হেমন্ত শর্মা।জেলা কোর কমিটিতে আনা হলো বিধায়ক নিহাররঞ্জন ঘোষকে।
তৃণমূল সূত্রের খবর শুক্রবার কলকাতায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে রদবদল চূড়ান্ত করা হয়। বৈঠকে ছিলেন সুব্রত বক্সি, প্রশান্ত কিশোর। ছিলেন জেলার পদস্থ নেতারাও। মালদহে ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে খাতা খুলতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। একই অবস্থা হয় ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে জেলার দুটি আসনে। এক্ষেত্রেও তৃণমূলের আসন শূন্য। মাঝে ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদহ জেলা পরিষদ সহ সিংহভাগ পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে তৃণমূল।
রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, মালদহে বিধানসভা বা লোকসভা ভোটের মত বড় নির্বাচনী ময়দানে ব্যর্থ তৃণমূল। এদিকে শুধু আসন না পাওয়ায় নয়, জেলায় গত কয়েক বছরে বারবারই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অস্বস্তি বাড়িয়েছে। এই অবস্থায় ২০২১ নির্বাচনের আগে সংগঠনের রদবদল কী হয় তা নিয়ে জল্পনা ছিল জেলায়। শুক্রবার কলকাতায় রাজ্য নেতৃত্ব বৈঠকে তলব করে মালদহের কোর কমিটির নেতাদের। সেখানেই রদবদলের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের মালদহ জেলা সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম বেনজির নূর জানান, আগামী বিধানসভা ভোটের আগে নতুন করে কিছু রদবদল করেছেন নেতৃত্ব। এদিনের বৈঠকে সে কথা জানানো হয়েছে। এর ফলে বিধানসভা ভোটের আগে দল আরো শক্তিশালী হবে। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যেই জেলাস্তরে আলোচনা করে পূর্ণাঙ্গ ব্লক ও অঞ্চল কমিটি গুলি ঘোষণা করা হবে।মালদহে ১২টি বিধানসভা আসন রয়েছে। গতবার জেলায় ১১ টি আসনে জিতেছিল বাম-কংগ্রেস জোট। একমাত্র আসন বৈষ্ণবনগর জিতেছিল বিজেপি। এরপর ২০১৬ সালে লোকসভা ভোটের প্রায় একইসঙ্গে হবিবপুর বিধানসভা উপ- নির্বাচনে জিতে জেলায় শক্তি বাড়ায় বিজেপি। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে জেলার ১২ বিধানসভার মধ্যে ছটিতে বড় ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে পদ্ম শিবির। এই অবস্থায় আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মালদহের মত জেলায় ত্রিমুখী লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। রদবদলের পর মালদহে বিধানসভা ভোটে তৃণমূল খাতা খুলতে পারে কিনা, অথবা কতগুলো আসন পায় এখন নজর সেদিকেই।
Sebak DebSarma