#হাওড়া: পেরিয়ে গিয়েছে ১১ বছর। এখনও নাতনির ছবি বুকে আঁকড়ে ধরে প্রহর গুনছেন ঠাকুমা। সরকারের কাছে মেয়ের মৃত্যুর শংসাপত্র নয়তো মেয়ের হদিশ চাইছে বেলুড়ের বাত্রা পরিবার| এগারো বছর আগের হওয়া জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় এখনও নিখোঁজ বেলুড় জাজোরিয়া গার্ডেনের বাত্রা পরিবারের একমাত্র মেয়ে স্নেহা| মা ও ভাইয়ের সঙ্গে মুম্বইয়ের কল্যাণ শহরের মামার বাড়িতে যাচ্ছিলেন স্নেহা| দুর্ঘটনার দিন স্নেহার বাবা রাজেশ বাবুর মোবাইলে ফোন আসে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে| সেখানে তাঁর পুত্রের আহত হওয়ার খবর আসে| সেখানে পৌঁছে ছেলেকে পেলেও কোনও খোঁজ পাননি স্ত্রী ইন্দু দেবী ও মেয়ে স্নেহার| আহত ছেলেকে কলকাতা নিয়ে এসে চিকিৎসা করালেও চার দিন পরে মৃত্যু হয় সৌরভের| খোঁজ পাওয়া যায়নি ইন্দু দেবী ও স্নেহার|
এরপর সরকারি নিয়মে ইন্দু দেবীর ভাই ডিএনএ পরীক্ষা করান| দুর্ঘটনার সাত মাস পরে ডিসেম্বর মাস নাগাদ তাঁর স্ত্রীর দেহ সনাক্ত হয় ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে| তবে এখনও পর্জন্ত খোঁজ নেই স্নেহার| ইতিমধ্যেই জ্ঞানেশ্বরী প্রতারণা মামলা প্রকাশ্যে এসেছে| উঠে এসেছে একাধিক সরকারি গাফিলতির কথা|
অমৃতাভর ঘটনা সামনে আসার পর এবার নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এই দুর্ঘটনায় নিখোঁজ ১৮ টি পরিবারের লোকেরা| বাত্রা পরিবারের দাবি রেলের কামরায় দুর্ঘটনা হওয়া দেহ কী ভাবে লোপাট হাওয়া সম্ভব? স্নেহার বাবার রাজেশ বাত্রার দাবি, 'আমি কোনও ক্ষতিপূরণ বা ডেথ সার্টিফিকেট চাই না, আমি আমার সন্তানের খোঁজ চাই| সরকার জানাক আমার মেয়ে জীবিত না মৃত এবং তার প্রমান চাই আমার|' আর অন্যদিকে, স্নেহার ঠাকুমা পুষ্পা দেবীর চোখে জল। তিনি বলছেন, 'আজও আশায় আছি আমার বাড়ির একমাত্র কন্যা ফিরে আসবে|'
অন্যদিকে, জ্ঞানেশ্বরী প্রতারণা কাণ্ডের সেই ধাঁধার সমাধানে নেমে একেবারে শূন্য থেকে তদন্ত শুরু করতে চাইছে সিবিআই। সেই তদন্তের প্রথম ধাপ ডিএনএ রিপোর্ট। যার ভিত্তিতে 'মৃত' বলে দেখানো যাত্রীর পরিবার ক্ষতিপূরণ পেয়েছিল এবং তাঁর বোন পেয়েছিলেন রেলের চাকরি। সোমবার বিচার ভবনে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে ওই জালিয়াতির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অমৃতাভ চৌধুরী এবং তাঁর বাবা মিহির চৌধুরীর নতুন করে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদনের মাধ্যমেই প্রথম থেকে তদন্তের সূচনা হয়েছে বলে জানান তদন্তকারীরা। বিচারক সেই আর্জি মঞ্জুর করেছেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।