#বর্ধমান: ইউহানে গৃহবন্দি বাঙালি গবেষককে ফেরানোর কোনও উদ্যোগ দেখতে না পেয়ে আশাহত পরিবার। বর্ধমানের বাড়িতে শয্যাশায়ী মা। বাবা বারবার ফোন করছেন চিনের ভারতীয় দূতাবাসে। কিন্তু ছেলেকে ফিরিয়ে আনার কোনও উদ্যোগ দেখা না দেওয়ায় বাড়ছে উৎকন্ঠা। থেকে থেকে একটা কথাই বলছেন, ' ছেলেটা আবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবে না তো ? তখন তো তাকে আর বাঁচানো যাবে না।'
করোনা ভাইরাসের প্রকোপের জেরে চিনের ইউহানে গৃহবন্দি বাঙালি গবেষক সাম্যকুমার রায়। বর্ধমানের কালীবাজারের আমতলার বাসিন্দা সাম্য ইউহান বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন তিনি। সেখানেই করোনার আতঙ্কে গৃহবন্দি সাম্যকুমার। ঘরের বাইরে পা দিলেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা। তাই ঘরের মধ্যেই শুকনো খাবার, আপেল সিদ্ধ খেয়ে কোনওরকমে দিন কাটাতে হচ্ছে।
বর্ধমানের বাড়িতে উদ্বিগ্ন বাবা সুজিত কুমার রায়। মা ইনা দেবী চিন্তায় খাওয়া দাওয়া না করে অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী। সুজিতবাবু জানান, '' সোমবার শুনেছিলাম এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমান তৈরি। সরকারের সবুজ সংকেত পেলেই চিনে গিয়ে আটকে পড়া ভারতীয়দের নিয়ে আসবে। সেই খবরে মনে কিছুটা আশা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তারপর তো আর কোনও উদ্যোগ দেখছি না। না কেন্দ্র, না রাজ্য... কোনও তরফ থেকেই আমাদের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ করা হয়নি। ছেলের সঙ্গেও কেউ যোগাযোগ করেনি। আমি চিনে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারাও এ ব্যাপারে কিছু জানাতে পারেনি। এখন একটাই চিন্তা, ছেলেটা না আবার ওই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।'
সাম্যর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ' আমি যে নিজের উদ্যোগে ফিরব তেমন তো কোনও উপায় নেই। বাস ট্রেন কিছু চলছে না। বিমান চলাচলও বন্ধ। এখন তাই দেশের উদ্যোগের দিকেই তাকিয়ে রয়েছি। এছাড়া তো আমার করার কিছু নেই। বাড়ির মালিক এক বয়স্কা মহিলা। তিনি দু'বেলা খাবার দিচ্ছিলেন। তাঁরও ভাঁড়ার শূন্য হয়ে এসেছে। তিনি আর খাবার দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। আগামী দিন কীভাবে কাটবে বুঝে উঠতে পারছি না।'
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona Virus, Indian Scientist