#খড়্গপুর: খড়্গপুর ডিভিশনে আউটসোর্সিং এর সিদ্ধান্ত নিল রেল কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের খড়গপুর ডিভিশনের ৬০টি স্টেশনে আউটসোর্সিং এর সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। রেল সূত্রে জানা গেছে, এজেন্সি নিয়োগের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। ৬০ টি স্টেশনে ৬৪ টি টিকিট কাউন্টার খোলার আবেদন পত্র নেওয়ার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বিভিন্ন স্টেশনে রেলের টিকিট কাউন্টার কোন কারণে অথবা কর্মচারীর অভাবে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। সেই কারণে রেলযাত্রীদের কথা ভেবে এবং স্থানীয় কিছু মানুষের লাভের কথা মাথায় রেখে আউটসোর্সিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় খড়্গপুর রেলওয়ে ডিভিশন।
আউটসোর্সিং এর জন্য রেলের কাউন্টার বিভিন্ন স্টেশনে খুলে যাবে। রেল কর্তৃপক্ষের লাভ হবে। টিকিট কিনতে গিয়ে লম্বা লাইনে রেলযাত্রীদের দাঁড়াতে হবে না, যাত্রী সাধারনের সুবিধে হবে। স্থানীয় লোকেরা কাজ পাবে। আউটসোর্সিংয়ের লভ্যাংশের ২/৪ শতাংশ লাভ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন - Weekend Tour: ছুটির দিনে সেরা ডে আউট প্ল্যান, কোচবিহারের কান্তেশ্বর ইকো-ট্যুরিজম পার্কখড়গপুর ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার রাজেশ কুমার জানান, রেল কর্তৃপক্ষ জেলার মানুষদের আউটসোর্সিং করছে আন রিজার্ভ টিকিটের। জেলার বিভিন্ন জায়গায় যারা বেকার আছেন তাদের রোজগার হবে। রেলের বেশকিছু টিকিট কাউন্টার কোন কারণের জন্য অথবা কর্মচারী কম থাকার জন্য বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। সেই কাউন্টার গুলো খুললে রেলের লাভ হবে। যাত্রীদের লম্বা লাইনের দাঁড়াতে হবে না, তাদেরও সুবিধা হবে। তাই খড়গপুর ডিভিশন এই পদক্ষেপ নিয়েছে। ৬০ টি স্টেশনে ৬৪ টি কাউন্টারে এখন আন রিজার্ভ টিকিট দেওয়া হবে। লাভের ২/৪ শতাংশ দেওয়া হবে। নিউজ পেপারের মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন জমা দেওয়ার জন্য। প্রায় চারশোর বেশি আবেদন পত্র জমা পড়েছে। এর ফলে যেসব স্টেশনের টিকিট কাউন্টার গুলো বন্ধ ছিল, সমস্ত কাউন্টার খুলে যাবে। সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে।
অন্যদিকে আউটসোর্সিংয়ের ফলে অনেক ক্ষেত্রে সুবিধে হবে বলে জানিয়েছেন রেল যাত্রীরা। মাদপুর স্টেশনের এক ট্রেনযাত্রী শেখ আশিক বলেন, মাদপুরের রেল স্টেশনের কাউন্টারে টিকিট নিতে আসি। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা সূত্রে আমরা বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করি। সকালে এখানে প্রচুর ভিড় হয়। সকালে ভিড়ের কারণে আমাদের লাইন দিয়ে টিকিট কাটতে হয়। এরজন্য আমাদের অনেক সময় ট্রেন মিস হয়ে যায়। দীর্ঘ ৫/৬ বছর ধরে আমরা এখানে সিঙ্গেল কাউন্টারে কাজ চালাচ্ছি। দুটো কাউন্টার আছে কিন্তু একটি কাউন্টারে কেউ বসে না। একটা কাউন্টারে লাইন দিয়ে কাজ চলে। প্রচুর সমস্যা হয়। অনেক সময় ট্রেন মিস হয়ে যায়। টিকিট কাউন্টার চালু করে দিলে ভিড় এড়িয়ে যাবে। রেলের আউটসোর্সিং খুব ভাল সিদ্ধান্ত।
খড়গপুর স্টেশনের এক যাত্রী সোন কুমার বলেন, বিলাসপুর যাব টিকিট নিতে এসেছি। তিনটি কাউন্টার বন্ধ একটাতে দেখছি লম্বা লাইন আছে। প্রচুর সমস্যা হচ্ছে। একে তো গরম তার উপরে এত লম্বা লাইন। বেশিরভাগ সময় কাউন্টার বন্ধ থাকতে দেখি। রেল কর্তৃপক্ষের আউটসোর্সিং আরও আগে করা দরকার ছিল। যাই হোক, যেটা হচ্ছে তাতে সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে।
Partha Mukherjeeনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Indian Railway, Kharagpur