#বর্ধমান: অনুমতি না নিয়েই চলছিল গাছ কাটার কাজ। খবর পেয়ে অভিযানে যায় বন দফতরের আধিকারিকরা। তাদের দেখেই চম্পট দেয় গাছ কাটার কাজে যুক্তরা। কাটা গাছ উদ্ধার করেছে বন দফতর। বর্ধমান শহর লাগোয়া চৈত্রপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চঞ্চলে সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা জুড়ে চলছে সেচখাল সংস্কারের কাজ। বর্ধমান শহর সংলগ্ন চৈত্রপুর এলাকায় সংস্কারের কাজে যুক্ত সংস্থা বন দফতরের অনুমতি ছাড়াই সেচখালের বাঁধের ওপর থাকা অনেকগুলি গাছ যন্ত্রের সাহায্যে কেটে উপড়ে ফেলছিল। সেই খবর পেয়ে সেখানে যান বন দফতরের কর্মী ও আধিকারিকরা। কাজ বন্ধ করে দেন। গাছ কাটায় ব্যবহৃত যন্ত্রের চালক বন কর্মীদের দেখে পালায়। বন দফতর সেই যন্ত্রটিতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। উপড়ে ফেলা গাছগুলিও হেফাজতে নিয়েছে বন দফতর।
আরও পড়ুন: আপনার শরীরে 'এই' সমস্যাগুলি নেই তো? তাহলে কিন্তু 'ফুলকপি' খেলে মহাবিপদ! এই শীতে সতর্ক হন!
জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান জেলার ডিভিসির ও অন্যান্য সেচখাল সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে বেশ কয়েক মাস আগে। সেচ দফতর এই কাজ করাচ্ছে। এদিন বর্ধমান-২ ব্লকের চৈত্রপুর এলাকায় দামোদর নদ সংলগ্ন সেচখালে কাজ শুরু হয়। অভিযোগ, বন দফতরের অনুমতি ছাড়াই সেচখালের বাঁধের ওপর থাকা বেশ কিছু শিরিষ ও শিশু গাছ কেটে ফেলা হয়। খবর পেয়ে বন দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। বন দফতরের বর্ধমানের রেঞ্জ অফিসার কাজল বিশ্বাসের নেতৃত্বে বন দফতরের টিম গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, সেচখালের সংস্কারের কাজ করতে বাঁধের ওপর থাকা গাছ কাটার প্রয়োজন ছিল না।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে লঙ্কাকাণ্ড! রাহুলের মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের ঝড়, তোলপাড় রাজনীতি
বন দফতরের বর্ধমানের বিভাগীয় বনাধিকারিক নিশা শর্মা জানান, গাছ কাটার খবর পেয়েই ওখানে টিম পাঠানো হয়। তিনি বলেন, এই গাছ কাটতে আমাদের কাছে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। তাই ওই কাজ বন্ধ করতে বলা হয়েছে। এই কাজে যুক্ত সংস্থার কাছে জানতে চাওয়া হবে কেন তারা বিনা অনুমতিতে গাছ কাটছিল।তার পর প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিভাগীয় বনাধিকারিক জানিয়েছেন। কেটে ফেলা গাছ ও যন্ত্রটি আপাতাত সেচখালের পাশেই বন দফতরের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Burdwan news, Forest Department