#বর্ধমান: বর্ধমান শহরে কি করোনার সংক্রমণ কমছে। পরিসংখ্যান দেখে তেমনই মনে করছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। গত বেশ কয়েক দিনের মধ্যে গত চব্বিশ ঘন্টায় সবচেয়ে কম আক্রান্তের হদিশ মিলেছে এই শহরে। প্রতিদিনই এই শহরে গড়ে পনের জনের বেশি বাসিন্দা করানো আক্রান্ত হচ্ছিলেন। সেই জায়গায় গত চব্বিশ ঘন্টায় মাত্র চার জনের করোনা সংক্রমনের প্রমাণ মিলেছে। পরিসংখ্যান দিকে তাকিয়ে করোনা সংক্রমণ কমছে বলেই মনে করছেন জেলা প্রশাসন ও পুরসভার আধিকারিকরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন,পরীক্ষা কতজনের হয়েছে সেটাও বিচার্য। যেসব এলাকায় ব্যাপক সংখ্যায় করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলছে সেইসব এলাকায় বেশি সংখ্যায় যদি পরীক্ষা হয়ে থাকে তবে পরিসংখ্যান অনুযায়ী সংক্রমণ কমছে ধরে নেওয়া যেতে পারে। জেলা প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে পরীক্ষা উত্তরোত্তর বাড়ছে। জেলার সদর শহর সহ সব ব্লকেই লালারসের নমুনা সংগ্রহ ও অ্যান্টিজেন পরীক্ষা হচ্ছে।
পূর্ব বর্ধমান জেলার সদর শহর বর্ধমানে করোনার সংক্রমণ জেলা প্রশাসনের কাছে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ ইতিমধ্যেই এই শহরে সাড়ে 500 জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। জেলায় 38 জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে বর্ধমান শহরে মৃত্যু হয়েছে 25 জনের। আক্রান্তদের অনেকের মধ্যেই কোনও ট্রাভেল হিস্ট্রি নেই। তাই শহরজুড়ে গোষ্ঠী সংক্রমণ ব্যাপক আকার নিয়েছে বলে আশঙ্কা করেছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। সেই চরম উদ্বেগ এর মাঝেই গত দশদিনের দিনের পরিসংখ্যান অনেকটাই স্বস্তি দিচ্ছে।
প্রতিদিনের আক্রান্তের পরিসংখ্যান বলছে গত দশ দিনের মধ্যে 11 আগস্ট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি। ওই দিন এই শহরে 24 জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার পরদিনও 24 জন করোনা আক্রান্ত হন। 13 আগস্ট করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন 15 জন। 14 আগস্ট ফের 23 জন করোনা আক্রান্ত হন। 15 আগস্ট করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন 11vজন। 16 আগস্ট এই শহরে 22 জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিল। 17 আগস্ট 15 জন করোনা পজিটিভ হন। 18 আগস্ট 19 জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। 19 আগস্ট আক্রান্ত হন 13 জন। গত 24 ঘন্টায় মাত্র 4 জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেহেতু বেশিরভাগ আক্রান্ত উপসর্গহীন তাই শহর জুড়ে ব্যাপকভাবে করোনা পরীক্ষার পর আক্রান্তের হদিশ কম মিললে তখনই সংক্রমণ কমছে এমন সিদ্ধান্তে আসা উচিত হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus