#সাঁইথিয়া: দীর্ঘ ১ বছর ধরে বাড়ির একটি ঘরে বন্ধ করে রাখার অভি্যোগ বাবাকে। অভিযোগ স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ের বিরুদ্ধে৷। বৃদ্ধের অভি্যোগ তাকে নরবলি দেওয়ার জন্যই আটকে রাখা হয়েছিল এতদিন। বিভিন্ন সময় মারধর করতো বলে অভিযোগ।
বীরভূমের সাঁইথিয়ার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। গতকাল সন্ধ্যা থেকে ফের কথা কাটাকাটি ও মারধোরের অভিযোগ। ওই সময় ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে পাশের ক্লাবে পালিয়ে যায় বৃদ্ধ। পরে ক্লাবের ছেলেরা তাকে হাসপাতালে চিকিতসা করায়। অভি্যোগ পেয়ে পুলিশ বৃদ্ধের স্ত্রী ও মেয়েকে গ্রেফতার করেছে। পালাতক ছেলে। বৃদ্ধের চোখে মুখে আতঙ্কের চিহ্ন। ওই বৃদ্ধের বক্তব্য আজ অমাবস্যায় নরবলি দেওয়া হত তাঁকে বাড়ির মন্দিরে।
একই মতামত স্থানীয় বাসিন্দাদের। কারণ বৃদ্ধের স্ত্রী, পুত্র ইদানিং এক বছর ধরে তন্ত্রসাধনা শুরু করেছিল। বীরভূমের সাঁইথিয়ার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুধাকর সূত্রধর। তিনি ছিলেন কাঠ মিস্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, গত এক বছর ধরে তাঁকে তাদের বাড়ির মধ্যেই ঘরবন্ধি করে রেখেছিল তার স্ত্রী সরস্বতী সূত্রধর, মেয়ে কাঞ্চন সূত্রধর ও ছেলে ব্রজগোপাল সূত্রধর। যদিও পাড়ার লোকদের বলা হয়েছিল সুধাকরবাবু বৃন্দাবন গিয়েছেন ঘুরতে।
গতকাল রাতে ফের ঝামেলা শুরু হলে সূধাকর সূত্রধরকে ফের মারধর করে বলে অভিযোগ। ওই সময় বৃদ্ধ বাঁচার জন্য ছাদ থেকে ঝাঁপিয়ে পাড়ার ক্লাবে পৌছে যান, এরপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় হাসপাতালে চিকিত্সা করিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার অভিযোগ পেয়ে বৃদ্ধের স্ত্রী ও মেয়েকে গ্রেফতার করেছে। ছেলে পলাতক। কেন ওই বৃদ্ধকে আটকে রাখা হয়েছিল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে থানায় অভি্যোগ না করলেও আজ সুধাকর বাবু জানিয়েছেন তার স্ত্রী ও তার ছেলে গত এক বছর ধরে বাড়ির কালীমন্দিরে তন্ত্র সাধনা করত এবং তান্ত্রিক এর কাজ করতেন।
দেখুন ভিডিও...
আজ অমাবস্যার দিন তাঁকে নরবলি দেওয়া হতো ওই কালীমন্দিরে। সেই ঘটনার কথা জানতে পেরেই তিনি ছাদ টপকে পালিয়ে ছিলেন। তার অভিযোগ প্রায় সময়ই তার স্ত্রী ও ছেলে টাকা চাইতেন না দিলেই মারধর করতেন। নরবলি যে দেয়া হতো এমন সন্দেহের কথা শুনিয়েছেন পাড়া স্থানীয় বাসিন্দারাও।
Supratim Das
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Birbhum, Human sacrifices