#হাওড়া: রাস্তার ধারে পড়ে থাকল বিলুপ্ত প্রজাতির "তিলা বাজ" পাখি। তাকে দেখতে রাস্তায় ভিড় জমলেও তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করল না কেউ। এমনকি বিভিন্ন ভাবে তাকে আঘাত করতে উদ্যত হয় মানুষ। সেই অমানবিক দৃশ্য দেখেই রুখে দাঁড়ালেন পাঁশকুড়ার বাসিন্দা শিক্ষক সুশান্ত মান্না। অনেক চেষ্টা করেও বারবার ফোন করেও সাহায্য মেলেনি বনদফতরের।
এরপর হাওড়ার বন্যপ্রাণ সংগঠনের সদস্যরা সেই আহত অসুস্থ বাজ পাখিটিকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে তার চিকিৎসা শুরু করে। সংগঠনের সদস্য অর্পণ দাসের দাবি, স্বভাবত এই ধরণের বাজ পাখি সচরাচর এই এলাকাগুলিতে দেখা যায় না। প্রাণী জগতে এই তিলা বাজ প্রায় বিলুপ্ত প্রজাতির পাখি হিসাবে গণ্য হয়। আসলে এই পাখিকে বলা হয় " Crested Serpent Eagal"।
সংগঠনের আর এক সদস্য চিত্রক প্রামানিক জানান, এই ধরণের ঈগল শিকারী পাখি। এটি এশিয়ার নিরক্ষীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। ভারতীয় উপমহাদেশ, দক্ষিণ এশিয়া এবং পূর্ব এশিয়ায় এদের বেশ কয়েকটি প্রজাতির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে ইদানিংকালে। ইতিপূর্বে ফিলিপাইন নাগ ঈগল আন্দামান নাগ ঈগল এবং দক্ষিণ নিকোবর নাগ ঈগলকে তিলা ঈগলের উপপ্রজাতি হিসেবে ধরা হয়। এই ধরণের ঈগলের আমাদের জনবসতি এলাকায় পাওয়া খুব দুষ্কর। কীভাবে এলো এই ঈগল, সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, প্রাপ্ত বয়স্ক ঈগলটি বেশ অসুস্থ। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্নও রয়েছে | বন্যপ্রাণ সংগঠনের দাবি, বনদফতরকে খবর দিলেও তারা সেই ভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। আর এই ধরণের পাখির চিকিৎসা করাও খুব কঠিন। বন দফতরের সাহায্য না পেয়ে নিজেরাই পাখিটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে সংগঠনের সদস্যরা। জঙ্গল এলাকায় অনেক উপর দিয়ে উড়তে পারে এই পাখি এবং শিকারে ওস্তাদ হয়।
বনদফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, তারা যোগাযোগ রাখছে বন্যপ্রাণ সংগঠনের সঙ্গে। শুক্রবার এই ঈগলকে তারা উদ্ধার করবে। উদ্ধার করে তাকে নিয়ে যাওয়া হবে সল্টলেকের বনদফতরের বন্যপ্রাণ বিভাগে। সেখানেই তার চিকিৎসা করে ফের তাকে জঙ্গলে ফেরানোর সব রকম ব্যবস্থা করা হবে।
দেবাশিস চক্রবর্তী
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Howrah