#বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলায় মৃত বৃদ্ধ কিভাবে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তা এখনও বুঝে উঠতে পারছে না জেলা স্বাস্থ্য দফতর। ওই ব্যক্তি দীর্ঘ কয়েক বছর এলাকার বাইরে যাননি বলে খবর মিলেছে। ওই ব্যক্তি বাড়ির সদস্যরাও কেউই এলাকার বাইরে যাননি। তাই ওই বৃদ্ধের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা গোষ্ঠী সংক্রমনের ইঙ্গিত দিচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে জেলা স্বাস্থ্য দফর। ইতিমধ্যেই এলাকার সিভিক ভলান্টিয়ার, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী,আশা কর্মীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যে ওই ব্যক্তির বাইরে যাওয়ার বা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসার কোনওরকম দৃষ্টান্ত মেলেনি।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির ছেলের লালারসে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার কি রিপোর্ট আসে সেদিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে স্বাস্থ্য দফতর। পূর্ব বর্ধমানের মেমারির বাগিলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণপুরের ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলায় এই প্রথম করোনা আক্রান্ত হয়ে কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হল। ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরেই বয়সজনিত রোগে ভুগছিলেন। দীর্ঘদিনের শ্বাসকষ্টও ছিল।
শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে তাঁকে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সোমবার বর্ধমান মেডিকেলের প্রি কোভিড ইউনিটে তাঁকে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। মঙ্গলবার সন্ধায় তাঁর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তার কিছুক্ষণ পরই ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।
করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা বা ওই বৃদ্ধের বাইরে যাওয়ার কোনও ঘটনা না থাকলেও কীভাবে তিনি করোনা আক্রান্ত হলেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। জেলা স্বাস্থ্য দফতর এক কর্তা জানান, এই ঘটনা এই প্রথম নয়, এর আগেও বেশ কয়েক জন আক্রান্তের হদিস মিলেছে যাঁরা কখনও এলাকার বাইরে যাননি। আক্রান্তদের সংস্পর্শেও আসেননি। এই আক্রান্ত ঘটনাগুলি গোষ্ঠী সংক্রমণে ইঙ্গিত দিচ্ছে। তাই উপসর্গ নেই এমন বাসিন্দাদের নমুনা সংগ্রহ করে একসঙ্গে পরীক্ষা করা গেলে এলাকায় করোনার প্রভাব কতটা তার একটা চিত্র মিলতে পারে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইন মেনেই নমুনা সংগ্রহ ও তা পরীক্ষার কাজ চলছে। রেন্ডম স্যাম্পল টেস্টের নির্দেশ এলে সেই মতো কাজ করা হবে।