#দিঘা: পর্যটন ব্যবসা বাঁচানোর আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছেন দিঘা শংকরপুর, তাজপুর, মান্দারমনি-সহ পুর্ব মেদিনীপুরের প্রতিটি সৈকত শহরের হোটেল মালিকরা! দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কেও নিজেদের সমস্যা ও সংকটের কথা জানাবেন তারা। সমস্যা না মেটানো হলে পর্যটন কেন্দ্রে হোটেল বন্ধ রাখার পথেও হাঁটতে চলেছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা।
করোনা নিয়মের যাঁতাকলে পড়ে এই মুহূর্তে সৈকত নগরীর একাধিক এলাকা পর্যটকশূন্য বললেই চলে। পর্যটক না থাকায় সমস্যায় পড়েছেন হোটেল মালিকরা। হোটেলের ইলেকট্রিক বিল ও কর্মচারীদের বেতন দিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এ সবের মধ্যেই হোটেল মালিক সংগঠন একটি মিটিং করে প্রয়োজনে হোটেল বন্ধ রাখার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।
গত কয়েকদিন আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লকডাউন কিছুটা শিথিল করেছিলেন। সৈকত নগরী দিঘার বেড়াতে আসতে শুরু করেন পর্ষটকরা। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে সৈকত নগরীতে বেড়াতে আসা সমস্ত পর্যটকদের করোনার ডাবল ভ্যাকসিন ও করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে। এই নির্দেশ পাওয়ার পর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে হোটেলগুলিতে নাকা তল্লাশি শুরু করেন। পরে বেশ কিছু হোটেল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পুলিশ প্রশাসনে নাকা চেকিংয়ের পড়ে সৈকতে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়ে। কোভিদ বিধি কড়াকড়ি হতেই অনেক পর্ষটক দিঘামুখী হচ্ছে না। পাশাপাশি, দিঘার বেড়াতে আসা অনেক পর্ষটক রাস্তা থেকে ফিরে যাচ্ছেন। হোটেল মালিকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দু-একদিনের মধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তারা দেখা করবেন। তাদের অসুবিধার কথা জানাবেন। যদি কোনো সুরাহা না মেলে তাহলে অনির্দিষ্টকালের জন্য হোটেল বন্ধ রাখবেন। দিঘা শঙ্করপুর হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের দিঘা, তাজপুর, শঙ্করপুর, মান্দারমনি-সহ পর্যটন কেন্দ্রে প্রায় ১২০০ হোটেল রয়েছে। সব জায়গার অবস্থাই এখন এক।
সুজিত ভৌমিক
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Digha, Digha Tourism