হোম /খবর /হুগলি /
ডিজিটাল লক খুলে ইডি কাজ সহজ করেছে তিনি, 'দি কি ম্যান'-এর শিরোপা হুগলির রবির

Hooghly News: ডিজিটাল লক খুলে ইডি কাজ সহজ করেছে তিনি, 'দি কি ম্যান'-এর শিরোপা হুগলির রবির

X
হুগলির [object Object]

হাজারও কঠিন তালার একটাই চাবি হল রবি। শনিবার চুঁচুড়ার অয়ন শীলের বাড়ি থেকে যে নথি উদ্ধার করেছে তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা তা সম্ভবত না যদি রবি না থাকতো। অত্যাধুনিক লক খুললেই খবরের শিরোনামে চুঁচুড়ার চাবি ওয়াল রবি পাল

  • Hyperlocal
  • Last Updated :
  • Share this:

হুগলি: হাজারও কঠিন তালার একটাই চাবি হল রবি। শনিবার চুঁচুড়ার অয়ন শীলের বাড়ি থেকে যে নথি উদ্ধার করেছে তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা তা সম্ভব হত না যদি রবি না থাকতো। ইডির হাতে আসা গোপন সমস্ত নথিপত্র তাদের হাতে এসে পৌঁছতো না যদি না অত্যাধুনিক লক তারা খুলতে পারতেন। আর সেই লক খুলেই খবরের শিরোনামে চুঁচুড়ার চাবি ওয়ালা রবি পাল।

চুঁচুড়া ঘড়ির মোড় এর পাশে প্রতিদিন সকালে তালা চাবির দোকান নিয়ে হাজির হন রবি পাল। সারা দিন কাজ করে কোনও দিন জোটে ১২০ টাকা কোনো দিন তারও কম। কোর্টের পাশে রাস্তার ধরে বসেই কাজ করেন রবি। শনিবারও সেই কাজের জন্য নিজের জায়গায় তালা চাবির দোকান সাজিয়ে বসে ছিলেন। কিন্তু তার পর যা ঘটলো তা প্রথমে নিজেও ভাবতে পারেননি রবি।

রবি জানিয়েছেন, শনিবার সকালে হঠাৎ দুই বাবু তার কাছে এসে বলেন তাকে যেতে হবে কাজ আছে। প্রথমে রবি কিছুই বুঝতে পারেনি। তার পর তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা নিজেদের পরিচয় দিতে যেতে রাজি হন রবি। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় চুঁচুড়ার অয়ন শীলের আবাসনে। সেখানে গিয়ে অয়ন ও শান্তনুর ফ্ল্যাটের অত্যাধুনিক বায়োমেট্রিক লক খোলার কাজের দায়িত্ব পড়ে তার ওপর। সারা দিনে প্রায় ৬-৭ টি তালা খোলার কাজের দায়িত্ব পড়ে রবির। কাজের শেষে পারিশ্রমিক বাবদ ১৪০০ টাকা দেয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

ছোটবেলায় বাবার হাত ধরেই তার চাবি বানানোর কাজ শেখা। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে চুঁচুড়া কোটের সামনে রাস্তায় বসে চাবি তৈরির কাজ করে আসছিলেন। পরিবার রয়েছে তার মেয়ে ও স্ত্রী। ছোট্ট পরিবার চালাতেই তাকে হিমশিম খেতে হয়। তবুও নানাবিধ কাজের মধ্যে খবরের পাতায় চোখ তিনি সবসময় রাখতেন।

আরও পড়ুনঃ Hooghly News: ধৃত শান্তনুর আরেক কীর্তি প্রকাশ্যে! ১০০ দিনের কাজে অ্যালোভেরার বাগান তৈরি করেছিলেন

"দি কি ম্যান" রবি পাল বলেন, এতদিন টিভিতে তিনি রোজ খবর দেখতেন। মনের মধ্যে সুপ্ত বাসনা ছিল কোনদিন তিনিও যাতে খবরের শিরোনামে আসেন। কিন্তু কোনদিন তিনি ভাবতে পারেননি তার সেই স্বপ্ন সত্যি হবে। ইডি আধিকারিকদের জন্য কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তার কাজ স্বীকৃতি পেয়েছে। খুশি রবিও।

রাহী হালদার

First published:

Tags: ED, Hooghly, Hooghly news