#উত্তর পরগনা: গাইঘাটা থানার আংড়াইল মানবতা বিদ্যাপিঠ প্রাথমিক বিদ্যালয়। গাইঘাটা বিডিও, এই স্কুলে বাবা লোকনাথ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের গত ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে মিডে মিল রান্না করার নির্দেশ দেন l সেই নির্দেশ মত স্বনির্ভর গোষ্ঠী স্কুলে রান্না শুরু করে।কিন্তুু সমস্যা তৈরী হয় অভিভাবকদের মনে।এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এক সদস্যা এইচআইভি আক্রান্ত। এমন মানুষ তাদের সন্তানের খাবার রাঁধবে। আর সেই খাবার খেয়ে যদি কোন বিপত্তি হয়। এই আশঙ্কা থেকে ঐ আক্রান্তকে মিড ডে মিল রান্না করতে বারণ করেন অভিভাবকরা।
এক প্রকার বিক্ষোভ শুরু হয় স্কুলে।অভিভাবকদের বিদ্রোহের মুখে পড়ে স্কুল কর্তপক্ষ আকান্ত গৃহবধুকে স্কুল এসে বসা থাকার কথা বলে।এক প্রকার বয়কটের মুখে পড়েন তিনি।প্রতিদিন স্কুলে আসা কিন্তুু রান্নার কাজে কোন হাত লাগাতে পারবেন না -এমন অবস্থা তৈরী হয়।দু সন্তানের মা ঐ আক্রান্তার দাবী তিনি তো নিজের সন্তানদের খাবার রেঁধে দেন প্রতিদিন।তাদের কিছু না হলে,সন্তান সম এই প্রাথমিক শ্রেনীর বাচ্চাদেরও কিছু হবে না। সেই কথা অভিভাবক ও স্কুল কর্তপক্ষ জানান তিনি।না স্কুল কর্তৃপক্ষ না অভিভাবক রা তার কথা কানে তোলে।তাদের কথা বিডিও এই গোষ্ঠীকে পাঠিয়েছে, তাদের অন্য সদস্যরা রান্নাবান্না বাকি কাজ করুক।কিন্তুু এডসে আকান্ত ঐ গৃহবধূ যেন রান্না ও খাবারে হাত না লাগায়।এমন কঠিন সামাজিক বয়কটের সামনে দাঁড়িয়ে নিরুপায় আক্রান্ত দারস্থ হন বি ডি ও এবং " উত্তর 24 পরগনা নেটওয়ার্ক ফর পিউপিল লিভিং উইথ এইচআইভি এইডস " সংগঠনের কাছে l
বৃহস্পতিবার বনগাঁ মহাকুমা লিগাল সার্ভিস, বনগাঁ হাসপাতালে আই সি টি সি কাউন্সিলর ও নেটওয়ার্ক ফর পিউপিল লিভিং উইথ এইচআইভি এইডস সংগঠনের থেকে অভিবাবকদের বোঝাতে স্কুলে যায় এক প্রতিনিধি দল। গিয়ে তারা বৈঠকও করে।অভিভাবকদের বোঝান এটি কোন ছোয়াছে রোগ নয়।ফলে আক্রান্ত রান্না করলে কোন সমস্যা হবে না।কিন্তুু অভিভাবকরা তা মানতে নারাজ।প্রতিনিধি দলকে তারা পরিস্কার না বলে দেন।তাদের একজন সুজাতা তালুকদার। তাঁর কথায় আক্রান্ত স্কুলে খাবার রান্না করুক তারা বাঁধা দেবেন না।কিন্তু সেই খাবার তারা তাদের সন্তান দের খেতে দেবেন না। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা প্রতীমা সরকার এই দিন বলেন রোগ টি নিয়ে মানুষের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক রয়েছে।
তাই সবাই মিলে যে মত দেবেন সেটা হবে স্কুলের সিদ্ধান্ত lনেটওয়ার্ক ফর পিউপিল লিভিং উইথ এইচআইভি এইডস সংগঠনের সভাপতি সমীর বিশ্বাস এর কথায় এক তো এডসে আক্রান্ত হলে কাজ জোটে না। সমাজের এই বঞ্চনা থেকে আক্রান্ত রা কবে মুক্তি পাবে প্রশ্ন তার।আর আক্রান্ত গৃহবধূর দাবী সম্মানের কাজ দিয়ে সন্তানদের বড় করা টা ছিল তার ইচ্ছা। তাই বসে বসে পারিশ্রমিক নেওয়ার অপমান তিনি সইবেন না বলেই প্রশাসনের দারস্থ হয়েছেন।বিষয়টি নিয়ে বনগাঁর মহকুমা শাসক কাকলী মুখার্জি জানিয়েছেন সমস্যা সমধানে আরো আলোচনা ও সচেতনার প্রয়োজন। প্রশাসন অভিভাবকদের বুঝিয়ে সমস্যার সমাধান করবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Mid day, South bengal news, মিড ডে