#বর্ধমান: দক্ষিণ বঙ্গের প্রাচীন কালী মন্দির গুলির মধ্যে অন্যতম বর্ধমানের কাঞ্চন নগরের কঙ্কালেশ্বরী কালী মন্দির।নিষ্ঠার সঙ্গে এখানে নিত্য পুজো হয়।বিশেষ পুজো হয় দীপান্বিতা কালীপুজোয়। কালী পুজোয় এখানে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয়। প্রায় কুড়ি হাজার ভক্ত অন্নভোগ গ্রহণ করেন। তবে এবার করোনা আবহে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পুজো ও ভোগ বিতরণ করা হবে বলে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন।
বাংলার ১৩২৩ সালে দামোদর নদীর তীরে দেবীর এই প্রস্তর মূর্তি পাওয়া যায়। সে সময় দামোদরের তীরে-একটি পাথরে ধোপারা কাপড় কাঁচত। কমলানন্দ পরিব্রাজক নামে এক সাধক তখন কাঞ্চননগরে অবস্থান করছিলেন। তিনি মায়ের স্বপ্নাদেশ পান। স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী তিনি দামোদরের তীরে গিয়ে ধোপাদের কাপড় কাঁচার কাজে ব্যবহৃত পাথরটি উদ্ধার করেন। সেই পাথরই এই দেবী মূর্তি। এই পাথরের দেবী মূর্তি পেয়ে তিনি বর্ধমানের মহারাজ বিজয়চাঁদ মহাতাবকে খবর দেন। রাজার উদ্যোগে এই মূর্তি কাঞ্চন নগরের এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করা হয়। সে সময় এই নবরত্ন মন্দির কোনও বিগ্রহ ছিল না। এই পাথরের কালীমূর্তি প্রতিষ্ঠার দিন থেকে এখানে নিত্য পূজা শুরু হয়।
পাথরে খোদাই দেবী কঙ্কালের মতো দেখতে। নাম তাই কঙ্কালেশ্বরী কালী। দেবী এখানে অষ্টভূজা। শায়িত শিবের নাভি থেকে উৎপত্তি হয়েছে পদ্মের। সেই পদ্মার ওপর দেবী বিরাজমান। তাঁর চালচিত্রে একটি হাতি রয়েছে। চামুণ্ডা মতে পূজা হয় এখানে। তবে গোড়া থেকেই বলি প্রথা নেই।
পুরাতত্ত্ববিদদের মতে, এই মূর্তি বৌদ্ধ বা পাল যুগের। দুই হাজার বছরেরও বেশি প্রাচীন। বন্যায় নদীর স্রোতে ভেসে এসে থাকতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। অবাক করার মত বিষয় হল, মানব দেহের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ, সমস্ত শিরা-উপশিরা খোদাই করা রয়েছে প্রতিমার মধ্যে। সে সময় বিজ্ঞান যে কতটা উন্নত ছিল তা ভেবে চমৎকৃত হন বর্তমানে চিকিৎসকরা। বর্তমানে মন্দির ও তার আশপাশের সৌন্দর্যায়ন ঘটানো হয়েছে। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা মন্দিরে আসেন।
SARADINDU GHOSH
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।