#ফ্রেজারগঞ্জ: অনেক হা-হুতাশের পর সবে দেখা মিলেছে ইলিশের, কিন্তু মৎস্যজীবীদের দাবি, মাছ মিলছে খুব কম পরিমাণে, ফলে লাভ হচ্ছে সামান্যই। বেশির ভাগ মাছের ওজন ৭০০ গ্রাম থেকে ২ কেজি মত, কাজেই মাছের দাম মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে।
১০০০ টাকার নীচে ইলিশ নেই বাজারে। মৎস্যজীবীদের বক্তব্য, ইলিশের মরশুম শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। এর মধ্যে যদি ইলিশ বেশি পরিমাণে না মেলে, তাহলে বিপদের মুখে পড়বেন মৎস্যজীবীরা। কোনও কোনও ট্রলার ৪ দিন থেকে এক সপ্তাহের বেশি সমুদ্রে থেকে ১ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকার ইলিশ মাছ পাচ্ছে। খরচ বাদ দিয়ে কিছুই আর থাকছেনা পকেটে!
ফ্রেজারগঞ্জ মৎস্য বন্দরে বৃহস্পতিবার দেখা যায়, বেশ কিছু ট্রলার আবার মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য ডিজেল,বরফ নিচ্ছে। কেউ আবার মাছ এনে অন্যান্য মাছ থেকে ইলিশ মাছ আলাদা করছে। তবে যা ইলিশ দেখা গেল, সেই ইলিশের আকার বেশ বড়। এই সমস্ত মাছ রাতের মধ্যে ডায়মন্ড হারবার, শিয়ালদহ, হাওড়া,বেহালা পোঁছে যাবে। মৎস্যজীবী সুভাষ পাত্রর কথায়, '' এক সময় আমার ৬ টি ট্রলার ছিল। এখন একটাও নেই। গঙ্গা যাঁকে যখন তার গর্ভের ধন তুলে দেয়, ভাঁড়ার পূর্ণ করে দেয়। আর যখন দেয় না, তখন শূন্য পানে চেয়ে থাকা ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই। এখন আমি অন্যের ট্রলারে মাছ ধরতে যাই।''
আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন-- এই চার মাস ইলিশের মরশুম। এবছর মরশুমের প্রায় তিন মাস ইতিমধ্যেই কেটে গিয়েছে। মৎস্যজীবীদের আশঙ্কা, বাকি মরশুমেও যদি পর্যাপ্ত ইলিশ না মেলে,তা হলে বড় বিপদ।
Shanku Santra