মুর্শিদাবাদ: কালবৈশাখীর তাণ্ডব আর শিলাবৃষ্টির দাপটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ধান চাষে। কান্দি ব্লকের গোকর্ণ ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের পাতেণ্ডা এলাকায় শিলাবৃষ্টির জেরে বিঘার পর বিঘা জমির পাকা ধান নষ্ট। বিশাল ক্ষতির মুখে পড়ে মাথায় হাত ধান চাষীদের। সরকারি সাহায্যের আর্জি জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ চাষীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন জায়গায় কালবৈশাখী ঝড়-সহ প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। সেইসঙ্গে চলে শিলাবৃষ্টি। শিলাবৃষ্টির শিলার দাপটে জমিতেই নষ্ট হয়ে যায় সমস্ত পাকা ধান। শুধু পাকা ধানই নয়, কাঁচা ধান, পাট, তিল-সহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির মুখে ধান চাষীরা। বিঘা প্রতি জমিতে ধান চাষে খরচ প্রায় হাজার পাঁচেক টাকা। কেউ চড়া সুদে ঋন নিয়ে আবার কেউ সোনা বন্ধক রেখে লাভের আশায় ধান চাষ করেছিলেন। যেটুকু ধান পড়ে রয়েছে, তা ঝাড়াই করতেই অনেক বেশি খরচ হয়ে যাবে। পাকা ধান তোলার ঠিক আগেই শিলাবৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কপালে চিন্তার ভাজ ক্ষতিগ্রন্থ চাষীদের।
ক্ষতিগ্রস্থ চাষী আজিমুদ্দিন শেখ বলেন, '' এইরকম শিলাবৃষ্টি আমি আগে কখনও দেখিনি। জমির সব ফসল নষ্ট করে দিল। ধারদেনা করে চাষ করেছিলাম। কী করে ঋণ শোধ করব বুঝতে পারছি না। আমরা চাই সরকার সাহায্য করুক।'' আর এক ক্ষতিগ্রস্থ চাষী মহম্মদ আরফাজুল শেখের কথায়, '' পাকা ধান তোলার ঠিক আগেই সব ধান শিলাবৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেল। যেটুকু ধান পড়ে আছে তা ঝাড়াই করতেই অনেক খরচ পড়ে যাবে। এই অবস্থায় সরকার আমাদের পাশে না দাঁড়ালে খুব সমস্যায় পড়ব।'' কান্দি মহকুমা কৃষি আধিকারিক পরেশনাথ বল বলেন, '' শিলাবৃষ্টিতে সব ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সমস্ত ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।'' কান্দি পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি পার্থপ্রতিম সরকার বলেন, '' চাষীদের কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের জন্য বিমার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ চাষীরা যাতে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পান, সেই ব্যবস্থা করা হবে।''
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Murshidabad