#কাটোয়া: করোনা আবহে কাটোয়ায় প্রসূতিদের চিকিৎসা করানোর ব্যাপারে সমস্যায় পড়েছেন তাদের আত্মীয় পরিজনরা। করোনার সংক্রমণের কারণে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে নতুন করে রোগী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। তাই অনেকে ভরশা রাখছিলেন বেসরকারি নার্সিং হোমের ওপর। এরপর তেমনই দুটি নার্সিংহোমের কর্মীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে করোনার সংক্রমণ দেখা দিল। ওই দুটি নার্সিংহোমে রোগী ভর্তি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এই পরিস্থিতিতে এখন নার্সিংহোমে যাওয়া নিরাপদ মনে করছেন না প্রসূতি ও তাদের আত্মীয়রা। এখন আসন্নপ্রসবাদের নিয়ে কোথায় যাবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না তাদের আত্মীয় পরিজনরা।
গত চব্বিশ ঘন্টায় কাটোয়া শহরে নতুন করে সতেরো জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০ জনই স্বাস্থ্যকর্মী। আক্রান্ত ওই স্বাস্থ্যকর্মীরা শহরের দুটি নার্সিংহোম এবং পুরসভার পলিক্লিনিকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ওই রিপোর্ট আসার পরই উপসর্গ নেই এমন আক্রান্তদের সেফ হোম ও সেফ হাউসে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের সংস্পর্শে আসা প্রত্যেককে হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শে দেওয়া হয়েছে। ওই নার্সিংহোম দুটিতে রোগী ভর্তি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৫ শে জুলাই তাদের লালারসে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। ১৭ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তাদের মধ্যে একটি নার্সিংহোমের ৭জন কর্মী রয়েছেন। কাটোয়া শহরের মন্ডলপাড়ার ওই নার্সিংহোমে রোগী ভর্তি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়াও কাটোয়ার সার্কাস ময়দানের এক নার্সিংহোমে এক কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। পুরসভার পলিক্লিনিকেও ১ কর্মীর দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে।
এর আগে কাটোয়া মহাকুমা হাসপাতালে এক প্রসূতি ও চিকিৎসকের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছিল। তার জেরে ওই হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে রোগী ভর্তি আপাতত বন্ধ রয়েছে। তাই প্রসূতিদের চিকিৎসার জন্য নার্সিংহোমগুলিতে ভিড় হচ্ছিল। এখন সেইসব নার্সিংহোমেও করোনার সংক্রমণ মেলায় চিন্তিত সংশ্লিষ্ট সকলেই। তবে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জরুরি প্রয়োজন হলে হাসপাতালের আলাদা জায়গায় প্রসূতিদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।