#বহরমপুর: শোচনীয় অবস্থা চাষীদের। একেই অনাবৃষ্টি, তার উপর সারের উপর ৫ শতাংশ জি এস টি বৃদ্ধি। এই কঠিন পরিস্থিতিতে চরম দুর্ভোগে মুর্শিদাবাদ জেলার চাষীরা। বৃষ্টির অভাবে জমিতে পড়েই পুড়ছে সমস্ত ফসল। দুর্ভিক্ষের আশঙ্কায় কপালে চিন্তার ভাঁজ চাষীদের।
কৃষি নির্ভর মুর্শিদাবাদ জেলায় অনাবৃষ্টি। এই বছর ৭০ শতাংশ বৃষ্টি কম হওয়ায় চরম দুর্ভোগে মুর্শিদাবাদ জেলার চাষীরা। বৃষ্টির অভাবে জমিতে পড়েই পুড়ছে ধান, পাট সবজি-সহ সমস্ত ফসল। একেই ধারদেনা করে চাষাবাদ করে থাকেন চাষীরা। তার উপর পাম্পের মাধ্যমে জমিতে জল দেওয়া অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ ব্যাপার। তারপর গোদের উপর বিষফোঁড়া অবস্থা চাষীদের। একেই অনাবৃষ্টি, তার উপর সারের উপর ৫ শতাংশ জি এস টি বৃদ্ধি। কার্যত লাভের মুখ না দেখায় হতাশায় চাষীরা। আর কিছুদিনের মধ্যে যদি পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হয় তবে দুর্ভিক্ষ হতে পারে।
চাষী ধীরেন মন্ডল বলেন, ''বৃষ্টি না হলে আমরা ফসল বাঁচাতে পারব না। আমরাও বাঁচতে পারব না। তার উপর জি এস টি বাড়ছে। এই ভাবে চলতে থাকলে আমাদের রুজি রোজগার বন্ধ হয়ে যাবে। বৃষ্টি না হলে সব ফসল শেষ হয়ে যাবে।''
আরও পড়ুন: ফরাক্কায় বন্ধ ফেরিঘাট পরিষেবা, সমস্যায় পড়েছেন শ'দেড়েক গ্রামের মানুষ
অন্যদিকে জি এস টি বৃদ্ধি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সিপিআইএম নেতা স্বরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ''শুধু সার নয়, কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত সব কিছুরই মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের ভুল নীতিতে চাষীরা চরম সংকটে।''
বিজেপি নেতা রাজেশ কুমার দাস বলেন, ''চাষীদের জন্য একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প শুরু করেছে কেন্দ্র সরকার। জি এস টি থেকে রাজ্য সরকার সবথেকে বেশি আয় করেছে। দরকার পড়লে সাধারণ মানুষের জন্য এই রাজ্যের সরকার জি এস টি ছেড়ে দিক।''
আরও পড়ুন: ফরাক্কায় শুরু হয়েছে স্ট্রবেরি চাষ, এই সংস্থার সহায়তায় ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন চাষিরা
পৌরসভার পৌরপিতা জয়দেব ঘটক বলেন, ''কেন্দ্র সরকার একটার পর একটা জনবিরোধী নীতি প্রণয়ন করে চলেছে। এবার জি এস টি বাড়ানো হল। কৃষকদের অবস্থা খুব খারাপ। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।''
Pranab Kumar Banerjee
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Farmers, Murshidabad news