অনুপ বিশ্বাস, সুন্দরবন: বাঘের পর এবার কচ্ছপের শরীরেও জিপিএস ট্রান্সমিটার যন্ত্র ব্যবহার করা হল সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পে। বাটাগুড় বাসকা বা পোড়া কাঠা নামক এক বিশেষ ও বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির কচ্ছপের শরীরে এই রেডিও ট্রান্সমিটার বসিয়ে বুধবার সুন্দরবনের নদী, খাঁড়িতে ছাড়া হল। এই বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির কচ্ছপের গতিবিধি, বংশ বিস্তার এবং পরিবেশের সঙ্গে কীভাবে এঁরা সামঞ্জস্য রক্ষা করছে সে সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতেই এদের গতিবিধির উপর নজরদারি চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প (GPS on Turtles)।
আরও পড়ুন-স্বপ্নপূরণ বাবুলের, ৬২টি সিঁড়ি ভাঙার দিন শেষ বালি ঘাট স্টেশনে
বন দফতর সূত্রে খবর, একসময় সুন্দরবন থেকে শুরু করে মায়নমার, থাইল্যান্ড হয়ে মালয়েশিয়া উপকূল পর্যন্ত এই বিশেষ ধরনের কচ্ছপের বসতি ছিল। কিন্তু বর্তমানে এই প্রজাতির কচ্ছপ বিলুপ্ত হয়ে যেতে বসেছে। বেশ কিছু বছর আগে, আনুমানিক ১৯৯৫-৯৬ সালে বন দফতরের পক্ষ থেকে সমুদ্রতীরে অলিভ রিডলে বা সামুদ্রিক কাঠা প্রজাতির কচ্ছপের ডিম সংগ্রহ করে তা ফোটানো হয়। কিন্তু সেই নবজাতক কচ্ছপগুলির মধ্যে বাটাগুড় বাসকা প্রজাতির কচ্ছপের সন্ধান পায় বন দফতর। সেই থেকেই এই বাটাগুড় বাসকা প্রজাতির কচ্ছপের সংরক্ষণ শুরু করে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প। সুন্দরবনের সজনেখালিতে আলাদা একটি পুকুর তৈরি করে সেখানেই বেশ কিছু বছর ধরে এই কচ্ছপ সংরক্ষণ ও তার প্রজনন করে চলেছে ব্যাঘ্র প্রকল্প।
মাত্র ১২টি কচ্ছপ থেকে বংশবৃদ্ধি হয়ে বর্তমানে ৩৭০ টি বাটাগুড় বাসকা প্রজাতির কচ্ছপ রয়েছে ব্যঘ্র প্রকল্পের কাছে। তবে বংশবৃদ্ধি হওয়ার সাথে সাথে বর্তমানে সজনেখালির পাশাপাশি দোবাঁকি, খাটোয়াঝুড়ি ও হরিখালিতে এদের সংরক্ষণ ও প্রজননের ব্যাবস্থা করেছে বন দফতর। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রজননে সক্ষম এইরকম বেশ কিছু বাটাগুড় বাসকা প্রজাতির দশটা কচ্ছপকে সুন্দরবনের নদীতে এদিন ছাড়া হল। যার মধ্যে ৭টি স্ত্রী ও ৩টি পুরুষ কচ্ছপ রয়েছে। এদের গতি প্রকৃতির উপর নজরদারি চালাতে দশটি কচ্ছপের শরীরেই জিপিএস ট্রান্সমিটার বসানো হয়েছে। এরফলে বিলুপ্ত প্রায় এই প্রজাতির কচ্ছপ সম্পর্কে আরও অনেক তথ্য জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
Anup Biswas
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Sundarbans, Turtle