Saradindu Ghosh
#বর্ধমান: বর্ধমানের সীতাভোগ মিহিদানার প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাজ্যপাল। এই দু’টি মিষ্টির স্বাদই আলাদা। সোমবার বর্ধমানের এসে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এ দিন সকালে বর্ধমানের একশো আট শিব মন্দিরে আসেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল। আধঘন্টা ধরে সেখানে নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো দেন। মন্দির চত্বর ঘুরে দেখেন। সেখান থেকে রাজ্যপালের কনভয় যায় বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মন্দিরে। সেখানে মা সর্বমঙ্গলার প্রস্তর মূর্তির এক্কেবারে সামনে থেকে পুজো দেন তিনি। এরপর তিনি যান বর্ধমানের সার্কিট হাউসে। সেখানে মধ্যাহ্ন আহার সেরে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
সার্কিট হাউসে রাজ্যপাল জাগদীপ ধনখড় বলেন, বর্ধমানের দু’টি ঐতিহাসিক মন্দির ঘুরে দেখলাম। বর্ধমানের ইতিহাস কৃষ্টি সংস্কৃতি খুবই প্রাচীন। এখানের বিখ্যাত মিষ্টি সীতাভোগ ও মিহিদানাও খেয়েছি। খুব ভাল খেতে। এর আগে একবার হঠাৎ করে বর্ধমানে এসে পড়েছিলাম। সেবার সার্কিট হাউসে তৎকালীন জেলা শাসক বিজয় ভারতী দেখা করতে এসেছিলেন। তিনিই আমার জন্য সীতাভোগ, মিহিদানা নিয়ে এসেছিলেন। সেই দুই মিষ্টির উৎপত্তির ইতিহাসও আমাকে জানিয়ে ছিলেন জেলাশাসক।
এর পরেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় রাজ্যপাল বলেন, হঠাৎ করে এসেছিলাম বলেই জেলাশাসক আমার সঙ্গে দেখা করতে পেরেছিলেন। জানিয়ে এলে হয়তো রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে আমার সঙ্গে দেখা করতে পারতেন না। তিনি বলেন, অনেক জায়গাতেই প্রশাসনিক আধিকারিকদের আমার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয় না। এটা ব্যক্তিগতভাবে আমার অপমান নয়, আসলে রাজ্য সরকার এর মধ্য দিয়ে সংবিধানকে অপমান করছে। এ প্রসঙ্গে তিনি ডায়মন্ডহারবারের কথা তোলেন। তিনি বলেন, ডায়মন্ড হারবার কী কারো ব্যক্তিগত মালিকানাধীন নাকি তা এই রাজ্যের মধ্যে আলাদা কোনও রাজ্য যে সেখানে যাওয়া যাবে না? আমি ফের ডায়মন্ডহারবার যাব, বলেও হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যপাল।
তাঁকে এ রাজ্য থেকে সরানোর জন্য রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে রাজ্যপাল হেসে বলেন, ওই চিঠির প্রথম চার লাইনের মধ্যেই রয়েছে আমি সাংবিধানিকভাবে যথাযথ দায়িত্ব পালন করছি না। তাই সেই দায়িত্ব যাতে আরও ভালভাবে পালন করতে পারি তার চেষ্টা করব।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bardhaman