#বারুইপুর: দেড় কোটি টাকা খরচে তৈরি হচ্ছে দূষণ মুক্ত বৈদ্যুতিক চুল্লি। বারুইপুরের জোড়ামন্দির ও কীর্তনখোলা শ্মশানের দু’টি বৈদ্যুতিক চুল্লি এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। কাঠের চুল্লিতে বাড়ছিল দূষণ। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে বাসিন্দাদের ক্ষোভও বাড়ছিল। তাই প্রশাসনের উদ্যোগে দু’টি শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। বারুইপুরের বুক চিরে চলে গিয়েছে আদি-গঙ্গা। তারই পাশে পুরন্দরপুর পঞ্চায়েতের মধ্যে প্রাচীন জোড়ামন্দির শ্মশান। এছাড়া বারুইপুর পুরসভার মধ্যে আরেক প্রাচীন শ্মশান কীর্তনখোলা। কীর্তনখোলা শ্মশানে একটি বৈদ্যুতিক চুল্লি ছিল। তবে জোড়ামন্দির শ্মশানে শব দাহ করা হত কাঠের চুল্লিতেই। এই শ্মশানের পাশেই বিস্তীর্ণ জনবসতি, সঙ্গে স্কুল-কলেজ। কাঠের চুল্লিতে শবদাহ করার জন্য দূষণ বাড়ছিল এলাকায়। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অসুবিধায় পড়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা। এমনকী দূষণের জেরে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা অসুস্থও হয়ে পড়েছিল। দূষণ কমাতে তাই বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।
দূষণ কমাতে বৈদ্যুতিক চুল্লি ----------------------- - জোড়ামন্দির ও কীর্তনখোলা শ্মশানে জয়নগর, কুলতলি, বিষ্ণুপুর, ক্যানিং, গোসাবার মানুষ শবদাহ করতে আসেন - জোড়ামন্দির শ্মশানে ১টি বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরি করা হয়েছে - কীর্তনখোলা শ্মশানে ১টি বৈদ্যুতিক চুল্লি ছিল, আরেকটি চুল্লিও তৈরি হচ্ছে - মোট খরচ হয়েছে দেড় কোটি টাকা - দু’টি শ্মশানেরই আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় জনসংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। স্কুল-কলেজও বেড়েছে। শ্মশান থেকে দূষণের জেরে স্থানীয়দের সমস্যাও বাড়ছিল। তবে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। শুধুমাত্র শ্মশানের আধুনিকীকরণই নয়, এলাকার সৌন্দর্যায়নেরও উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। রাস্তায় রাস্তায় আলো লাগানো হয়েছে। তৈরি হয়েছে যাত্রী প্রতীক্ষালয়, সুলভ শৌচালয়ও। দু’টি বৈদ্যুতিক চুল্লি এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষায়.......
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Air Pollution, Baruipur, Egiye Bangla, Electric fireplace