#সাগরদ্বীপ: প্রশাসনের চিন্তা বাড়াল গঙ্গাসাগর। আমফানের জেরে লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে সুন্দরবনের এই দ্বীপ। সাধারণ মানুষের সাহায্যে গঙ্গাসাগরে দ্রুত ত্রাণ পাঠানোর ব্যবস্থা করল রাজ্য সরকার। নবান্নের তৎপরতায় ত্রিপল থেকে শুকনো খাবার সব কিছুই পাঠানো হল।
গঙ্গাসাগর সারা বিশ্বের মানুষের কাছে এই জায়গার পরিচয় আছে। গত কয়েক বছর ধরে এই জায়গাকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলেছে সরকার। সেই দ্বীপের এই অবস্থা দেখে চিন্তিত প্রশাসনিক আধিকারিকরা। কাকদ্বীপের লট ৮ জেটি ঘাটে দাঁড়িয়ে আছে একের পর এক লরি। তাতে রয়েছে ত্রাণ সামগ্রী। সেই ত্রাণ আপাতত পাঠানো হচ্ছে সেখানে। শুক্রবার প্রথম সেখানে পৌছলেন দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলাশাসক পি উলুগনাথান ও সুন্দরবন জেলা পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি। কাকদ্বীপ থেকে সাগর দ্বীপে যাওয়ার একমাত্র উপায় হল জলপথ। যদিও সেই জলপথে যাওয়ার ক্ষেত্রেও বাধা। আবহাওয়া পরিস্থিতি অনুকূল না হওয়ায় এখনও ভেসেল পরিষেবা চালু করেনি রাজ্য পরিবহন দফতর।
অন্যদিকে কচুবেড়িয়াতে রাজ্য পরিবহন দফতরের যে জেটি ছিল তা সম্পূর্ণ ভেঙে জলের তোড়ে ডুবে গেছে। এদিন গিয়ে দেখা গেল, পন্টুনের সাথে গ্যাংওয়ে ভেঙে বেরিয়ে চলে গেছে। কংক্রিট ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছে৷ এই জেটির দায়িত্বে থাকা এক কর্মী সঞ্জয় আদক জানান, "ঝড়ের দিন প্রথম অংশেই হাওয়ায় লোহার মোটা চেন ছিল তা ছিঁড়ে চলে গেছে। তারপরে গ্যাংওয়ে ভেঙে যায়। জলে ডুবে চলে যায়।"
এই জেটি সারানো যে ভীষণ মুশকিলের ব্যপার তা স্বীকার করে নিচ্ছেন জেলাশাসক। এদিন তিনি ও জেলা পুলিশ সুপার জেটি দেখেন। সেখানে তিনি বলেন, "এই জেটি সারাতে একটু সময় লাগবে। আমরা রাজ্য পরিবহন দফতরকে জানিয়েছি। তারা গোটা বিষয়টি দেখছেন।" সাগর দ্বীপের অবস্থা যে ভীষণ খারাপ তা ইতিমধ্যেই জানিয়েছে রাজ্য সরকার। এদিন যে সমীক্ষা রিপোর্ট উঠে এসেছে সেখানে উল্লেখ হয়েছে, প্রায় ৮০ শতাংশ কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে। এদিন সাগরে জেলাশাসকের সাথে বৈঠকে ছিলেন এন ডি আর এফের প্রতিনিধিরা। তাদের কমান্ডার সুধীর দ্বিবেদী জানিয়েছেন, "প্রাণহানি রোখা গেলেও ক্ষতি রোখা যায়নি। একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছে। সেগুলির জন্যে যথেষ্ট সময় লাগছে।"
বাড়ি সারানোর চেয়েও সরকার চাইছে আগে ত্রাণ পাঠাতে। এদিন জেলাশাসক জানিয়েছেন, "প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। পুনঃর্বাসনের দিকে পরে ফোকাস করব। আগে লোককে খাবার দিতে হবে।" সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পান বরজের। এখানে কৃষিজীবী মানুষ পান বরজের সাথে যুক্ত। প্রায় ১২০০০ পান বরজ আছে। তা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানান নামখানার বিধায়ক। এর আগে বুলবুলে যে ক্ষতি হয়েছে তা এখনও মিটিয়ে তোলা যায়নি। তার ওপর এই অবস্থা হওয়ায় ক্ষতির বহর বেড়েছে। সমস্যার কথা শুনে রাজ্য কৃষি দফতরকে রিপোর্ট দিচ্ছেন জেলাশাসক। দ্রুত শস্যবিমার টাকা যাতে পাওয়া যায়।
Abir Ghoshal
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Amphan, Sagar Islands