#শীতলকুচি: এমন রক্তাক্ত নির্বাচন বাংলায় শেষ কবে হয়েছে! এই প্রশ্নই যেন কুড়ে খাচ্ছে বাংলার মানুষকে। নির্বাচনের নামে রক্তারক্তি কাণ্ড বাংলার বিভিন্ন জায়গায়। কোচবিহারের মাথাভাঙায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন চারজন। নির্বাচন কমিশনের দাবি, প্রায় ৩০০ জন ঘিরে ধরে জওয়ানদের রাইফেল কেড়ে নিতে চেয়েছিল। প্রাণ বাঁচাতে বাধ্য হয়ে গুলি চালান জওয়ানরা। তবে কমিশন, বাহিনীর এমন দাবি মানতে নারাজ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চতুর্থ দফা নির্বাচনে নজিরবিহীন হিংসার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন তিনি। রবিবার সকালে কালো পোশাক পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। দাবি করেন, ''শীতলকুচিতে গণহত্যা হয়েছে।''
শীতলকুচির জোড়পাটকির ১২৬ নং বুথে শনিবার সকালে ভোট শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এলোপাথাড়ি গুলি চালায় বলে অভিযোগ করে গ্রামবাসীরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, একটি বাচ্চাকে মারধরের ঘটনায় প্রতিবাদ করতেই কিছু মানুষ জমায়েত করেছিল। সেই সময় ওই জমায়েত লক্ষ্য করে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। চার জনের মৃত্যু হয়। গুলি চালানোর ঘটনা মেনে নিয়েছে কমিশন. জানানো হয়েছিল, জওয়ানরা আত্মরক্ষায় গুলি চালিয়েছিলেন। তবে গ্রামবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা অন্য কথা বলছেন। শনিবারই এই ঘটনার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছিলেন মমতা। এদিনও তিনি বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা করলেন। একইসঙ্গে বেশ কিছু প্রশ্নও তুললেন। মমতা বলেছেন, ''কেন পায়ে গুলি করল না। বুক লক্ষ্য করে গুলি করে দিল! টিয়ার গ্যাস ফায়ার করতে পারত। বাহিনীর আহত হওয়ার ঘটনা কোথায় ঘটেছে! কমিশন যা করছে তা নজিরবিহীন। শীতলকুচিতে গণহত্যা হয়েছে। নৃশংসভাবে মানুষকে মেরেছে বাহিনী।''
এদিন ভিডিও কলের মাধ্যমে নিহত চারজনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন মমতা। তিনি বলেন, ''এই সময় আমি ওদের পাশে থাকতে পারলে ভাল হত। কিন্তু আমাকে ওখানে যেতে দেবে না বলে আইন করেছে। গুলি করে মানুষ খুনের তথ্য লুকোতেই এসব আইন। আমি ১৪ তারিখ যাব। আমরা মৃতদের পরিবারের লোকজনে পাশে থাকব। মৃতদের মধ্যে কারও স্ত্রী গর্ভবতী, কারও আবার তিন বছরের বাচ্চা আছে। ওরা সবাই সাধারণ মানুষ। ভোট দিতে এসেছিল। বাহিনী নির্বিচারে গুলি করল। এই সময় আমি ওদের পাশে থাকলে, মাথায় হাত বুলিয়ে দিলে স্বান্তনা পেত। কিন্তু সেটাও করতে দেবে না। এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড আগে দেখেনি বাংলা।''
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।