তমলুক: তমলুক শহরে তাম্রলিপ্ত পৌরসভার পৌর ভবনের পাশেই রয়েছে বিখ্যাত নিরামিষ হোটেল যা নিজস্ব নাম ভুলে মামা হোটেল নামেই পরিচিত। এই হোটেলের সবচেয়ে ইউনিক বিষয়টি হল শুরু দিন থেকে পেতলের থালা বাটিতেই খাবার পরিবেশন করা হয়। বর্তমান সময়ে হোটেল কেন বাড়িতেও পিতলের থালা বাটি বাসনের ব্যবহার মানুষ ভুলতে বসেছে। সেখানে একটি হোটেল বাংলার সেই ঐতিহ্য আঁকড়ে রেখেছে। প্রতিদিন দুপুরে বহু মানুষ পিতলের থালা বাটিতে সুস্বাদু নিরামিষ পদ দিয়ে ভাত খেয়ে তৃপ্তি পান।
হোটেল মালিক রতন চন্দ্র ঘোষ এ বিষয়ে বলেন, হোটেলের বয়স ৪২ বছর। হোটেল শুরুর প্রথম দিন থেকেই পিতলের থালা বাটি বাসনে খদ্দেরদের খেতে দেওয়া হয়। পিতলের থালায় ভাত বাটিতে ডাল তৈরি তরকারি চাটনি ও পায়েস খেয়ে খদ্দেররা খুশি হন।
আরও পড়ুনঃ কী কারণে বিয়ে হচ্ছে না গ্রামের যুবকদের? বিধায়ককে অভিযোগ, তোলপাড় গোটা গ্রাম
তিনি আরও বলেন, একজন খেয়ে ওঠার পর সেই এঁটো থালাবাসন সাবান দিয়ে খুব ভালভাবে পরিষ্কার করা হয়। প্রতিদিন হোটেলে দুপুরে গড়ে ৫০০ মানুষ খেতে আসেন। আগে ৪০ টাকায় অফুরান খাওয়ার দাওয়ার পাওয়া যেত কিন্তু জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। ফলে এখন সেই দাম ৬০ টাকা রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ১ কোটির লটারি জিতেই জ্ঞান হারালেন মাছ বিক্রেতা! লুটিয়ে পড়লেন রাস্তায়! তারপর যা হল...
তমলুক শহরের মানুষজন ছাড়াও প্রতিদিন তমলুকে বিভিন্ন কাজে জেলা-সহ পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে আসা মানুষজন দুপুরের খাবার খেতে হলে এই হোটেলেই আসেন। কোলাঘাটের রবিন মাইতি জানান, 'কাজের প্রয়োজনে তমলুক এসে দুপুরে খাওয়ার প্রয়োজন হলে প্রথমেই মাথায় আসে এই হোটেলের নাম। এই হোটেলের পেতলের থালা-বাসনে খাবারদাবার পরিবেশন করা হয়। এই হোটেলে পেতলের থালা বাটিতে নিরামিষ পদ খেয়ে তৃপ্তি পান।
Saika Shee
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: East Medinipur, Tamluk