#হলদিয়া: পুলিশের সামনে দাঁড়াতে পারলেন না। তাই পাততাড়ি গুটিয়ে পালালেন মাদুলি বাবা। নিউজ এইট্টিন বাংলায় হলদিয়ার মাদুলি বাবার খবর প্রকাশ পেতেই শিল্প শহর জুড়ে হইচই শুরু হয়। কিন্তু 'করোনা'-র মাদুলি দেওয়া মাদুলি বাবার বাড়িতে পুলিশ পৌছনোর আগেই বাড়ি ছেড়ে চম্পট দেল মাদুলি বাবা সৈয়দ আবদুল কাদের! এর পরেই কুসংস্কার রোধে সচেতনতা প্রচার শুরু করল সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতিও। করোনার কঠিন সময়ে এধরণের বুজরুকি ব্যবসা নিউজ এইট্টিন বাংলা তুলে ধরায় ধন্যবাদ জানালেন সকলে!
নিউজ এইট্টিন বাংলার খবরের জেরে হলদিয়ায় মাদুলি বাবা-র গ্রামে গিয়েছিলেন পুলিশ, পঞ্চায়েত প্রশাসন এবং বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা। করোনা তাড়াতে মাদুলির ওপর কখনই যে ভরসা করা যায় না, সেটা বোঝাতেই সুতাহাটায় সৈয়দ আবদুল কাদেরের গ্রামে এবং বাড়িতে যায় সুতাহাটা থানা পুলিশ। গোটা বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় থানার পুলিশ এবং ব্লক ও বিডিও প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে এলাকায় এলাকায় সচেতনতা প্রচারও শুরু করেছেন বিজ্ঞানকর্মীরাও! প্রচার শুরু করেছে পঞ্চায়েত সমিতিও।
আরও পড়ুন - বিধানসভা ভোটের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে আজই গোয়া যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
করোনা ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে হলদিয়ায় মাদুলি কেনাবেচা চলছে, এই খবর রবিবারই নিউজ এইট্টিন বাংলায় দেখানো হয়। যা দেখে প্রশ্ন তোলেন যুক্তিবাদীরা। নিউজ এইট্টিন বাংলার খবরে তৎপরও হয় পুলিশ পঞ্চায়েত প্রশাসন থেকে সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সকলেই। করোনার জন্য অব্যর্থ দাওয়াই মাদুলি- এই মর্মে বিজ্ঞাপনী প্রচারকে সামনে রেখেই মাদুলি বিক্রি চলছিল হলদিয়ার গ্রামে-গ্রামে। গলায় মাদুলি ঝোলান- আর করোনা ভালো করুন - লেখা। আর এই স্লোগানকেই সাইন বোর্ডে লিখে প্রকাশ্যে টাঙিয়েও দিয়েছিলেন হলদিয়ার সুতাহাটার সৈয়দ আবদুল কাদের নামে এক ব্যক্তি। যিনি দাবি করেছিলেন - বাড়ির ভেতরে একটা মাদুলি ঝুলিয়ে রাখার সঙ্গে-সঙ্গে গলাতেও একটা মাদুলি পরলেই করোনা ভাইরাস দূরে চলে যাবে!
আরও পড়ুন - গঙ্গাসাগরের পরেও সংক্রমণের হার ৩ শতাংশ, 'অভিষেক মডেল'-এ আলো দেখছে ডায়মন্ড হারবার
৭৭ বছরের আবদুল কাদেরের অদ্ভুত দাবিতে সাড়া দিয়েছিলেন গ্রামের মানুষজন। লোকমুখে প্রচার হয়ে য়াওয়ায় যাতায়াত শুরু হয়েছিল দূর-দূরান্তের মানুষেরও। চলছিল মাদুলি কেনাবেচা, নিউজ এইট্টিন বাংলাকে নিজের বাড়িতে বসেই রবিবারই সে কথা জানিয়েছিলন। মাদুলির দাম এক হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ধার্য করে রেখেছেন তিনি। দরিদ্র মানুষদের দামে ছাড় দিয়ে কম টাকায়ও নিচ্ছেন বলে তিনি জানান। এবং তাঁর দাবি- লোকজন বিশ্বাস করুন বা না করুন, তাঁর দেওয়া এইসব মাদুলি করোনা রুখতে অব্যর্থ মহৌষধী।
যদিও করোনা ঠেকাতে মাদুলির প্রয়োগ ভুল বলেই দাবি করছন চিকিৎসক এবং বিজ্ঞান কর্মীরা। যুক্তিবাদীদের কথায়, মাদুলির বিষয়টি পুরো বুজরুকি! আজ নিজেদের দাবির সমর্থনে এলাকায় এলাকায় সচেতনতা প্রচার কাজও চালাচ্ছেন তাঁরা। একইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ খবরটি সামনে তুলে ধরার জন্য নিউজ এইট্টিন বাংলাকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন সকলে।
Sujit Bhoumik
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Fraud