#হাওড়া: এ যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটের সন্ধান পাওয়ার মতো অবস্থা ।বৃহস্পতিবার ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে অসমের এক বাসিন্দাকে দেড় লক্ষ টাকার জাল নোট সহ গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। সেই কারবারিকে জেরা করে হাওড়ার গোলাবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার মণিপুরের জঙ্গি সংগঠন জুলিয়াগরঙ ইউনাইটেড ফ্রন্টের (জেড ইউ এফ) চার সদস্য। যারা হুগলির বাসিন্দা অভিজিৎ ধরের অপহরণের সঙ্গে যুক্ত।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মণিপুরের নোনে জেলায় বেসরকারি নির্মাণ সংস্থার প্রজেক্ট ম্যানেজার অভিজিৎ ধরকে অপহরণ করে এই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা। সেই ঘটনার পর হাওড়ায় গা ঢাকা দিয়েছিল কিনা খতিয়ে দেখছে এসটিএফ।
সূত্রের খবর, ধর্মতলা থেকে যে জালনোটের কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তার হাবভাব প্রথমেই সন্দেহজনক মনে হয়েছিল গোয়েন্দাদের। ধৃত ব্যক্তি শুধু জালনোট নয় আরও বড় কোনও চক্রের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে হয় তাদের।
যদিও ধৃত ব্যক্তির থেকে সহজে কোনও তথ্য বের করতে পারছিলেন না গোয়েন্দারা। ধৃতকে আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর চেপে ধরতেই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায় হাওড়ার গোলাবাড়ি এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে ওই জঙ্গি সংগঠনের চার সদস্য। ধৃতকে নিয়ে গোলাবাড়ি থানা এলাকায় হানা দেয় এসটিএফ। সেখান থেকে হাতেনাতে জঙ্গি সংগঠনের দুই মহিলা ও পুরুষ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের থেকে নগদ ৩৪ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা মিলেছে। মুক্তিপণ বাবদ পাওয়া টাকাই ধৃতদের থেকে মিলেছে। জানা গিয়েছে, মুক্তিপণ পাওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল অভিজিতকে।
ডিসি (এসটিএফ) অপরাজিতা রাই বলেন, "ধৃতরা প্রাথমিক জেরায় জানিয়েছে অপহরণ করে মুক্তিপণ বাবদ এই পরিমাণ টাকা তারা পেয়েছিল। এই টাকা কারও হাতে তুলে দেওয়ার জন্যই তারা এখানে এসেছিল বলে দাবি করেছে। এরাই অপহরণের সঙ্গে যুক্ত কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।"
গ্রেফতারির পর এসটিএফ মনিপুরের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ধৃত জঙ্গিদের ব্যাপারে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছে তারা। শনিবার ধৃতদের ব্যাংকশাল আদালতে তোলা হবে। ধৃতদের জেরা করে এসটিএফ জানার চেষ্টা করছে এরাজ্যের কেউ এই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত কিনা।
সুজয় পাল
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।