বারাসত : জীবনের করুণ কাহিনি শোনালেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপিকা সঙ্গীতা দাশগুপ্ত। কুড়ি বছরের বেশি অধ্যাপনার করে আজ নিঃস্ব, রিক্ত। প্রাপ্য টাকা আজও পাননি কোনও এক অজ্ঞাত কারণে। অসুস্থ এই অধ্যাপিকার অপরের দয়ায় আজ দিন কাটছেন বারাসত পুরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ডের অশোক কলোনির বাড়িতে। কমিউনিস্ট পরিবারে জন্ম সঙ্গীতাদেবীর৷ বাবা অমিয় দাশগুপ্ত এবং মা সুজাতা দাশগুপ্ত ছিলেন অবিভক্ত ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী। সঙ্গীতার মা সুজাতা দেবী ছিলেন শিক্ষিকা।
প্রাক্তন এই অধ্যাপিকার একমাত্র ভাই অমিয় দাশগুপ্ত ছিলেন উচ্চপদাসীন ব্যাঙ্ক অফিসার। বিদেশে থাকলেও ১৯৯১ সালে রাশিয়ার অন্তর্দেশীয় অস্থিরতার কারণে ভারতে ফিরে আসেন সঙ্গীতাদেবী। ১৯৯২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রুশ ভাষার অধ্যাপিকা হিসাবে যোগ দেন। প্রায় ২৪ বছর পর ২০১৬ সালে জীবন থেকে অবসর নেন। পিএফ, গ্র্যাচুইটি পেলেও পেনশন পাননি এখনও। আইনের জটিলতা নাকি অন্য কোনও কারণ এর পিছনে আছে, তা নিয়ে বলতে না চাইলেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ইচ্ছুক সঙ্গীতা দেবী।
আরও পড়ুন :সন্তানকে মশার কামড় থেকে নিরাপদে রাখতে ব্যবহার করুন এই সহজ ঘরোয়া টোটকাগুলি
অভিযোগ, বাড়িতে পশু পুনর্বাসন কেন্দ্র খুলে অতীতে বিরাগভাজন হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা এবং পুরসভার প্রতিনিধিদের কাছে। তবু নিজের আদর্শ ও নীতি থেকে সরে আসেননি। গত নভেম্বরে পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন। ভেঙে যায় কোমরের হাড়। তার পর থেকেই শয্যাশায়ী সঙ্গীতাদেবীর দু’বেলা খাবার সংস্থান করা কার্যত অসম্ভব হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন : হোটেলের ঘর থেকে কোন কোন জিনিস নিয়ে চলে আসতে পারবেন? কী কী নেওয়া গর্হিত অপরাধ?
তবে এক সময়ে তাঁর বিরোধিতা করা প্রতিবেশীরাই এখন তাঁর রক্ষাকর্তা। অসহায় পরিস্থিতিতে সাহায্যের আশায় দিন গুনছেন এই প্রাক্তন অধ্যাপিকা৷
(প্রতিবেদক - রুদ্র নারায়ণ রায়)
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Barasat