#হুগলি: ছিল ধানের জমি। হয়ে গেল নৌকা চলাচলের চ্যানেল৷ রূপনারায়ণের জলে বিঘের পর বিঘে চাষের জমি জলের তলায়। খানাকুলের বাড়নন্দনপুর গ্রামের চেহারা এমনই। যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম নৌকা। তা নিয়েই চলছে জমি দেখে আসার কাজ। তবে আকাশে ঘন কালো মেঘ, চিন্তা বাড়াচ্ছে খানাকুলের। আরামাবাগ, খানাকুল, গোঘাট হুগলি জেলার এই সমস্ত এলাকা বরাবর বন্যা প্রবণ। প্রতি বছর বন্যার ভ্রুকুটি সহ্য করতে হয় এই সব এলাকার মানুষদের। চলতি বছরেও তার অন্যথা হয়নি।
হুগলি জেলার এই সব এলাকা রূপনারায়ণ, দ্বারকেশ্বর, মুন্ডেশ্বরী, দামোদর নদী দিয়ে ঘেরা। এর মধ্যে রূপনারায়ণের জলে ভেসেছে খানাকুলের একাধিক গ্রাম। আর তার জেরেই জলের তলায় চাষের জমি। বাড়নন্দনপুরের বাসিন্দা আনন্দ সুদর্শন হাজরা। তার ২০ বিঘা ধান জমি এখন জলের তলায়। তিনি জানাচ্ছেন, "প্রত্যেক বছরই তো আমাদের এই অত্যাচার সহ্য করতে হয়। ব্যারেজ জল ছাড়লেও আমাদের জমি জলের তলায়। আর ভারী বৃষ্টি হলেও জলের তলায়চলে যায় আমাদের জমি। এভাবে আমরা আর কত বছর সহ্য করব।" বাসাবাটি'র বাসিন্দা অনিল দারি। তার জমিও জলের তলায়। তিনি জানাচ্ছেন, "পটল, উচ্ছে সহ মরসুমী সবজি আমার সব জলের তলায় চলে গেল। সব ফসল পচে গেছে। কবে জল নামবে জানিনা। ফলে কিছু আর ফেরত পাওয়ার আশা রাখি না।" খানাকুলের গড়েরঘাটের রাস্তার দু'ধারে বিঘের পর বিঘে জমি জলের তলায় চলে গেছে। প্রায় ৫ থেকে ৬ ফুট জলের উচ্চতা।
ইতিমধ্যেই বাসাবাটি, জগৎপুর সহ একাধিক গ্রাম ঘুরে দেখেছেন মন্ত্রী ও আধিকারিকরা। কথা বলেছেন গ্রামবাসীদের সাথে। তাদের নানা অসুবিধার কথা শোনেন। মিতালি হাজরা গ্রামবাসী জানিয়েছেন, "ওষুধ নিয়ে আসা গ্রামে সবচেয়ে সমস্যা। পুলিশকে বললাম, যাতে ওষুধ আমরা পেতে পারি।" আর এক গ্রামবাসী মিনতি হাজরা জানিয়েছেন, "বাজার করতে যেতে পারছি না। গ্রাম তো একটা দ্বীপ হয়ে গেছে। খাবার যাতে পাই সেটা দেখতে অনুরোধ করেছি পুলিশকে।" হুগলি জেলা পুলিশ সুপার অবশ্য জানিয়েছেন, "জলবন্দি এলাকার মানুষের খোঁজ নিতেই আমাদের দল বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে। কথা বলে চলেছি আমরা অবিরত। যা যা চাহিদা আছে সব দেখে দেওয়া হবে। বিশেষ করে ওষুধ ও খাবার।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।