বর্ধমান : অধিকাংশ জমিতে ধান কাটা শেষ। ধান বিক্রির কাজে গতি আসতেই রাজ্য শস্য ভাণ্ডার পূর্ব বর্ধমান জেলায় ধান ক্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ালো খাদ্য দফতর। এর ফলে চাষিদের ধান বিক্রিতে সুবিধা হবে বলে মনে করছে প্রশাসন। কৃষকদের সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রির ক্ষেত্রে হয়রানি কমাতেই এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে।
পূর্ব বর্ধমান জেলায় এ বার ৪০ টি ক্রয় কেন্দ্র থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা হচ্ছে। খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০৫ টি সমবায় সমিতিকে ধান কেনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ৮২ টি সংঘ ধান কিনবে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় ৪৩ হাজার ৫৪৯ মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ামক অসীম নন্দী বলেন, আগামী দিনে আরও তিনটি ক্রয় কেন্দ্র চালু করা হবে। এছাড়াও বেনফেড, কনফেডের মতো সংস্থাগুলিও ধান কিনবে। ধান ক্রয়কেন্দ্রে ধান নিয়ে গিয়ে কৃষকরা যাতে সমস্যায় না পড়েন তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষি দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জেলার অধিকাংশ জমির ধান কাটা হয়ে গেছে।ধান ঝাড়ার কাজ শেষ হলেই ক্যাম্পে চাষিদের ভিড় বাড়বে।
আরও পড়ুন : হোমে সানাইয়ের সুর, নিজের সংসার পেলেন আশৈশব গৃহহীন অষ্টাদশী
কৃষি দফতরের এক আধিকারিক জানান, " অন্যান্য বছর শীতের শুরুতে বৃষ্টি হয়। তাতে পাকা ধানের ক্ষতিও হয়। গত বছরগুলিতে তেমন ঘটনা ঘটেছিল কিন্তু এ বছর ধানকাটা ও ধান ঝাড়ার ক্ষেত্রে অনুকূল পরিবেশ পাওয়া গিয়েছে। এ বার বৃষ্টি না হয় ধান কাটা বা তা শুকিয়ে আদায় করার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হয়নি। এর ফলে উৎপাদন অনেকটাই বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।"
আরও পড়ুন : ২৫ বছর আগে হারান প্রথম স্বামীকে, একাকিত্ব থেকে মুক্তি দিতে ৫০ বছর বয়সি মায়ের বিয়ে দিলেন মেয়ে
জেলা খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান জেলায় উৎকৃষ্ট মানের ধান হয়। যেই ধান থেকে চাল তৈরি করে মিড ডে মিল-সহ গণবন্টন ব্যবস্থা সরবরাহ করা হয় এই জেলা থেকে। দক্ষিণবঙ্গের আটটি জেলায় চাল সরবরাহ করা হয়। রাজ্যের গণবন্টন ব্যবস্থার অনেকটাই পূর্ব বর্ধমান জেলার উৎকৃষ্ট মানের চালের উপর নির্ভরশীল। সেই কারণে এ বার এই জেলা থেকেই সহায়ক মূল্যে সবচেয়ে বেশি ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্য সরকার। সরকারি সহায়ক মূল্যে সেই ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণের সব রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।