Saradindu Ghosh
#বর্ধমান: এলাকার চাষিদের সব ধান সরকারি সহায়ক মূল্যে কিনতে হবে। এই দাবিতে বিক্ষোভ চলছিল রাইস মিলের গেটের সামনে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সে দাবি না মানায় রাইস মিলে ঢোকার রাস্তাই কেটে দিল গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি, রাইস মিলের জল, ছাইয়ে চাষের ক্ষতি হয়। তাই এলাকার সব ধান কিনতে হবে রাইস মিলকে। রাইস মিল কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, প্রশাসনের সঙ্গে চুক্তির পর নির্ধারিত পরিমান ধান কেনা সম্ভব। গ্রামবাসীদের দাবি মেনে সব ধান কেনা সম্ভব নয়। পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে এই ঘটনা ঘটেছে।
সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করার সুযোগ দিতে হবে- এই দাবিতে মিলের গেটে বিক্ষোভ দেখালো পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসি এক নম্বর ব্লকের গলিগ্রাম, মথুরাপুর ও অনুরাগপুর গ্রামের কৃষকরা। রাইস মিল কর্তৃপক্ষ তৎক্ষণাৎ চাষিদের সব ধান কিনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে না পারলে জেসিবি দিয়ে মিলের রাস্তা কেটে প্রতিবাদ জানালো চাষিরা।
কৃষকদের অভিযোগ, গলসিতে ধানেল জমি অনেক বেশি। তুলনায় ধান বিক্রি করার জায়গা কম। এর মধ্যে আবার অনেক রাইস মিল ধান কিনছে না। তার ফলে সমস্যা বাড়ছে। এ দিন কৃষকরা ধান কিনতে হবে এই দাবি তুলে একটি রাইস মিলের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করে। তাতেও মিল কর্তৃপক্ষের তরফে ইতিবাচক কোনও পদক্ষেপের দেখা মেলেনি। এরপরই উত্তেজিত কৃষকরা জেসিবি মেশিন দিয়ে রাইস মিলে ঢোকার রাস্তা কেটে দেয় বলে অভিযোগ।
২ নভেম্বর থেকে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। জোর কদমে ধান কাটার কাজ শুরু হয়েছে। চুক্তিবদ্ধ হওয়া রাইস মিলের মাধ্যমে ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ধান বিক্রি নিশ্চিত করতে রাইস মিলগুলির ওপর চাপ বাড়াচ্ছে কৃষকরা। তাঁরা বলছেন, এলাকার তিনটি রাইস মিল রয়েছে। মিলগুলির নিকাশি জল ও ছাই কৃষি জমিতৈ পড়ছে। তার জেরে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। মিলের ছাইয়ে গোটা গ্রাম ঢাকা পড়ছে। অথচ ধান কেনার সময় পিছিয়ে যাচ্ছে রাইস মিল।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।